বিজনেস শুরু করার আগে অনেকেই তাদের হিসাব মেলাতে পারেন না। প্রতিযোগিতামূলক এ বাজারে লাভজনক বিজনেস আইডিয়া কি, খরচ কেমন হবে কিংবা ক্ষতির আশঙ্কা কতটুকু এসব ভেবে অনেকেই সামনে এগোতে পারেন না। যদিও বিশ্বের লাখ তরুণ তরুণী এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে হতাশায় ভুগছে। তবে থেমে নেই কেউ।
বর্তমান গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডে সব ব্যবসাই স্বাধীন। যে কেউ চাইলেই যে কোনও ব্যবসা করতে পারেন, সেটা ডোমেস্টিক হোক আর ইন্টারন্যাশনাল হোক। আপনার ব্যবসাটি ছোট কিংবা বড় এটি দেখার অবকাশ নেই। আপনার ভেতের উদ্ভাবনী শক্তিই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
বাজার যতই প্রতিযোগিতামূলক হোক না কেন, এমন কিছু ইউনিক ও লাভজনক বিজনেস আইডিয়া রয়েছে যা অনুসরণ করে আপনি নিজেই নিজের বস হয়ে উঠতে পারবেন। স্বাধীনভাবে নিজের কাজ উপভোগের পাশাপাশি পাবেন অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। আপনার প্রয়োজন শুধু সঠিক গাইডলাইন মেনে সামনে অগ্রসর হওয়া।
১০টি ইউনিক অথচ লাভজনক বিজনেস আইডিয়া
বিজনেসের ক্ষেত্রে বেশি বাজেট সর্বদাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে না। কারণ ব্যবসার শুরু করতে টাকার থেকে বুদ্ধির প্রয়োজন বেশি। তাই নিজের বুদ্ধির যথাযথ ব্যবহার করে অল্প টাকায় লাভজনক বিজনেস শুরু করতে পারেন আপনিও।
আপনার আশেপাশেই এমন অনেক ইউনিক ও লাভজন বিজনেস আইডিয়া রয়েছে যা আপনাকে চূড়ান্ত সফলতা এনে দিতে পারে। তেমনই ১০ টি লাভজন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। উদ্ভাবনী, দক্ষতা, শ্রম আর সৃজনশীলতা দিয়ে এসব বিজনেসকে আপনি সাধারণ থেকে অসাধারণ করে তুলতে পারেন।
১. মোবাইল ও কম্পিউটার সার্ভিসিং
তরুণ থেকে বৃদ্ধ, সবার হাতেই রয়েছে একটি মোবাইল ফোন। আর কম্পিউটার তো আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। এ দুটি ডিভাইস নিত্য প্রয়োজনীয় হলেও এগুলো নিয়ে প্রায়ই লোকজন নানা রকম সমস্যায় পড়ে থাকে। টেকনিকাল সমস্যা থেকে সফটওয়্যার সমস্যা সমাধানের জন্য সার্ভিসের প্রয়োজন পরে ব্যবহারকারীদের।
পছন্দের মোবাইল বা কম্পিউটারটি ঠিক করার জন্য ব্যবহারকারীরা সার্ভিসিং সেন্টারের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। তাই তাই এই ব্যবসাটি হতে পারে একটি সময়োপযোগী ব্যবসা। যেখানে খুব অল্প জায়গায় ও কম টাকায় আপনি শুরু করতে পারেন আপনার জীবনের প্রথম ব্যবসা।
এ কাজটির জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। তাই শুধু ব্যবসা শুরু করলেই হবে না, এসব ডিভাইস মেরামত করার দক্ষতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। অন্যথায় প্রচুর টাকা নিয়ে শুরু করা আপনার এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে বেশি সময় লাগবে না।
তাই আপনার যদি এ বিষয়ে পারদর্শিতা থাকে তাহলে এটি হবে আপনার জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। আর পারদর্শিতা না থাকলেও এ আপনি এ বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন। অথবা দক্ষ কোন টেকনিশিয়ানকে নিয়োগ দিন।
সাধারণত গ্রামে এ ধরনের ব্যবসার আইডিয়া মাঝে লাভজনক হয় না। কারণ গ্রামে এ ধরনের সার্ভিস এখনো অনেক কম। তবে আপনার ভালো পুজি থাকলে শহরের কোন জন সমাগমপূর্ণ স্থানে দোকান ভাড়া নিতে পারেন। যা আপনার জন্য লাভ বয়ে আনবে।
২. রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
ফুড ব্যবসায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেকেই রেস্টুরেন্টকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কারণ রেস্টুরেন্ট এমন একটি জায়গা, যেখানে সব সময়ই ক্রেতার সমাগম হয়ে থাকে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে রাতারাতি বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
রেস্টুরেন্টে খাবর বিক্রির বিশাল একটি অংশ লাভ হিসেবে থেকে যায়। অনেকেই বলে থাকেন, একটি রেস্টুরেন্ট থেকে মোট বিক্রির ৫০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট লাভ থাকে। তবে এ ব্যবসার জন্যে আপনার দরকার একটি উপযুক্ত লোকেশন যেখানে লোক সমাগম বেশি। সাধরণত নগর বা শহরে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
দোকান পরিচালনা করতে অবশ্যই একজন ভাল মানের বাবুর্চি নিতে ভুলবেন না। কারণ আপনার দোকানের খাবারের মান ভালো হলে ক্রেতাগণ বারবার ছুটে আসবেন। পাশাপাশি নিত্য নতুন খাবারের আইটেম আপনার ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরতে পারলে এটি আপনার জন্য লাভজনক একটি প্রজেক্ট হিসেবে গণ্য হবে। তবে হ্যাঁ, খাবারের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।
৩. ই- কমার্স ব্যবসা
মানুষের সাধারণ জীবন ধারায় আধুনিকতার ছোঁয় লাগায় ই-কমার্স এখন অন্যতম জনপ্রিয়, স্মার্ট ও লাভজনক বিজনেস আইডিয়া। দিন দিন মানুষের প্রচুর ব্যস্ততা বাড়ছে। অনেকেই প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে শপিং মলে যেতে চায় না। আবার অনেকের হাতে যথেষ্ট সময় না থাকায় তারা অনলাইন শপিংয়ের দিকে ব্যপক ভাবে ঝুঁকে পড়েছেন।
আর এ সুযোগটি লুফে নিয়েছেন সারাবিশ্বের নতুন অনেক উদ্যোক্তা। এ ধরনের ব্যবসার মূল ধরন হচ্ছে গ্রাহক তার হাতে থাকা মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে ঘরে বসেই পেয়ে পছন্দের পণ্যটি পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
এ ব্যবসাটি লাভজনক বিজনেস আইডিয়ার তালিকায় চলে আসার বেশকিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, ই-কমার্স অল্প টাকায় শুরু করা যায়। আর এ জন্য আপনার কোনো দোকানেরও প্রয়োজন হবে না। আপনার যদি একটি মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে আপনি এখান থেকেই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
ফলে প্রাথমিকভাবেই আপনার অনেকটা টাকা বেঁচে গেল। এ ব্যবসায় অন্যতম সুবিধা হচ্ছে আপনি যেকোনো এক বা একাধিক পণ্য নিয়েই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
অনলাইনে অনেক কম টাকায় লাভজনক বিজনেস করা সম্ভব। তেমন কিছু ই কমার্স ব্যবসা হল:
- কসমেটিকস
- কাপড়ের ব্যবসা
- জুয়েলারি
- ঘড়ি
- ইলেকট্রিক ডিভাইস
- হ্যান্ড মেইড প্রডাক্ট
- আচার
- হোম মেইড ফুড ইত্যাদি।
৪. মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবসা
আপনি কি দেখেছেন কোভিড-১৯ কে কেন্দ্র করে কি পরিমাণ মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে? মাস্ক এবং স্যানিটাইজার আমাদের বহুল ব্যবহৃত দুটি উপকরণ। কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রয়োজনীয়তা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবসা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ও সময়োপযোগী বিজনেস।
করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেক মানুষের প্রাণ। আবার অনেকেই হারিয়েছে তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায়। তবে এর মধ্যেও কিছু মানুষ বুদ্ধিকে পুঁজি করে জয় করেছে এই কঠিন সময়কে। তাই করোনাকে কেন্দ্র করে আপনিও মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিক্রির ব্যবসার কথা ভাবতেই পারেন।
এর জন্য আপনার খুব বেশি পুজির দরকার হবে না। পাশপাশি আলাদা দোকানেরও দরকার নেই। নিজের ছোট্ট বাসাতেই পাইকারী ও খুচরা মূল্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিক্রি শুরু করে দিতে পারেন। মাত্র ১০০ ডলার দিয়েই দুর্দান্ত এ বিজনেসটি আপনি শুরু করতে পারবেন।
করনার মহামারীর এই সময়ে এর থেকে ভাল ও ইউনিক বিজনেস আইডিয়া দ্বিতীয়টি নেই। তাই আপনি যদি কম টাকায় লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য যেমন উপযুক্ত হবে তেমনি অন্যদের জন্য হবে খুবই উপকারী।
৫. নার্সারি ব্যবসা
অল্প টাকায় লাভজনক বিজনেসের আরেকটি সেরা আইডিয়া হচ্ছে নার্সারি ব্যবসা। নার্সারি ব্যবসার সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে এর জন্য আপনার কোন আলাদা কোনো শপের দরকার পরবে না। অনেক ক্ষেত্রে আলাদা কোনো মূলধনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই লাভজনক এ ব্যবসা শুরু করা যায়।
শখের বসে আমরা অনেক সময়ে নিজেদের ঘরে, বারান্দায়, ছাদে কিংবা বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় গাছপালা, ফল ও ফুলের চাড়া লাগিয়ে থাকি। মানুষের শখের এই কাজটিই হতে পারে আপনার উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। আর আপনি যদি বাগান করতে আনন্দ পান, তাহলে এ ব্যবসাটি আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ, লাভজনক ও সেরা ব্যবসা হয়ে উঠবে।
তবে ঘরোয়া পরিবেশে নার্সারি করার জন্য বেশকিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে:
- স্থান নির্বাচন: নার্সারির জন্য এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে, যেখানে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বা রাস্তাঘাট ভাল নয় এমন জায়গায় নার্সারী স্থাপন করা উচিত নয়।
- মাটি: নার্সারীর মাটি অবশ্যই উঁচু জায়গায় এবং উর্বর হওয়া জরুরি। পাশাপাশি মাটি সুনিষ্কাশিত হওয়া প্রয়োজন। যাতে অতিবৃষ্টিতে বীজতলা বা নার্সারী বেডে পানি জমে না থাকে।
- পানির সহজলভ্যতা: নার্সারীতে গাছের পরিচর্যায় সব সময় পানির প্রয়োজন। তাই পানির উৎস থেকে নার্সারীর দূরত্ব বা সেচ-সুবিধা আছে কিনা তা বিবেচনায় আনতে হবে।
সবশেষে পরিবহন ও বাজারজাতকরণের সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, দক্ষ শ্রমিকের সহজলভ্যতা, সমভাবাপন্ন আবহাওয়া ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনাপূর্বক নার্সারীর জন্য স্থান নির্বাচন করা উচিত।
৭. ওয়ান-টাইম গ্লাস, প্লেট, কাপের বিজনেস
শুনতে অবাক লাগলেও আজকাল অনেক অনুষ্ঠান বা ছোট বড় ইভেন্টে ওয়ান-টাইম প্রডাক্টসের অনেক বেশি চাহিদা৷ তাই নিঃসন্দেহে এটি একটি যুগোপযোগী এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনার ঘরে একটু জায়গায় শুরু করে দিতে পারবেন এই লাভজনক ব্যবসা।
ওয়ান টাইম বা একবার ব্যবহারের জন্য এইসব প্লাস্টিকের থালা বাসনের জুড়ি নেই। এখনকার সময়ে আয়োজিত অনেক পিকনিক, জন্মদিন, বিয়ে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানেও এই ওয়ান টাইম প্রডাক্টস গুলোর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে।
তবে শুধু অনুষ্ঠানেই নয়, এসব সামগ্রী বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, কফি শপ এবং ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতারাও কেনেন। এর মধ্যে কফি মগ, প্লেট, গ্লাস, চামচ, পাইপ, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বক্স, বাটি ইত্যাদি বেশি বিক্রি হয়। তাই এই ব্যবসাটিকে কম টাকায় সবচেয়ে লাভজনকের তালিকায় রাখার যৌক্তিকতা রয়েছে।
৮. ফাস্টফুড ব্যবসা
বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড আছে, যেটা আপনি সামান্য প্রশিক্ষণ নিলে তৈরি করতে পারবেন । সকালে, বিকালে বা সন্ধ্যায় সবসময়ই ফাস্টফুডের চাহিদা আছে। মানুষ চলতে-ফিরতে নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। আর আপনার খাবার যদি সুস্বাদু হয় তাহলে অনেক দূর থেকেও খাবার খেতে কাস্টমার আসবে।
তাই আপনার যদি খাবার তৈরিতে আগ্রহ থাকেন, তাহলে অল্প টাকায় এই বিজনেস ব্যবসা শুরু করতে পারেন । কবে ব্যবসা শুরুর জন্য প্রথমেই আপনাকে কোন জনবহুল জায়গা বেছে নিতে হবে। সকল কাজ শেষে আপনার খাবারগুলোকে সুন্দর করে প্রদর্শন করতে হবে।
মনে রাখবেন ফাস্টফুড মানেই লোভনীয় খাবার। তাই আপনাকে কাস্টমারের চোখে খাবারগুলো আকর্ষণীয় লাগতে হবে। পাশাপাশি খাবারের মান বজায় থাকলে আপনি খুব দ্রুত অনেক কাস্টমার পাবেন
৯. ক্যাফে বা কফিশপ
সঠিক কৌশল আর পরিকল্পনা নিয়ে চলতে পারলে ক্যাফে বা কফিশপ সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার একটি। বর্তমানে শহর-নগর উভয় জায়গাকেই ক্যাফের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব দোকানে বিশেষ করে তরুণদের প্রচণ্ড ভিড় লেগেই থাকে। পারস্পারিক আড্ডায় জমজমাট থাকে কফিশপগুলো।
এ ধরনের ব্যবসা খুব অল্প টাকায় শুরু সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন একটি ঘর অথবা হতে পারে আপনার বাড়ির গ্যারাজও। চাইলে একটি জমজমাট এলাকায় ঘর ভাড়াও করতে পারেন। ঠিক মতো প্রচার করতে পারলে জনপ্রিয় কোন লোকেশনে দোকান নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আপনার পণ্যের গুণে ক্রেতারাই বারবার ছুটে আসবে।
তবে ক্যাফের সৌন্দয্য ধরে রাখতে ইন্টিরিয়রের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ক্রেতাকে আকর্ষণ করার অন্যতম মূল চাবিকাঠি নজরকাড়া ইন্টিরিয়র আর আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা। মধ্যবিত্তের আয়ত্ত্বের মধ্যে দাম নির্ধারণ করে চমক রাখুন খাবারের মেনুতে।
এক্ষেত্রেও খাবারের মেনুর জন্য দেখতে পারেন বিদেশি রেসিপি। প্রচলিত চাইনিজ্, থাই খাবারের বাইরে রাখুন নতুন ধরণের খাবার। অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে ঠিক মতো পরিকল্পনা করে নেমে পড়ুন, সাফল্য আসবে।
১০. ট্রাভেল বা ট্যুরিজম
ঘুরতে যেতে পছন্দ করে না, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষের ভ্রমণের এই পছন্দকে কেন্দ্র করে আপনি বিপুল লাভজনক ট্যুরিজম বা ট্রাভেল ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। অল্প টাকায় ব্যবসার কথা ভাবলে এটিই হতে পারে আপনার জন্য সবথেকে সহজ উপায়।
এই ব্যবসা শুরু করতে খুব বিনিয়োগ লাগে না। তবে যথেষ্ট সময়, শ্রম এবং অধ্যাবসায় দিতে হবে। এখনকার সময়ে ভ্রমণপিপাষুরা টিকেট কাটা, হোটেল বুকিং, বেড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি ইত্যাদির জন্য অনেকাংশেই বিভিন্ন এজেন্সির ওপর নির্ভর করেন। আপনি যদি তাদের সন্তোষজনক সেবা দিতে পারেন, তাহলে হলে তারা আপনার কাছেই ফিরে ফিরে আসবেন প্রতিবছর।
এই ব্যবসায় বিনা বিনিয়োগে আয় করা সম্ভব। নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করলে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি, পাশাপাশিই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকেও রাখতে পারেন তালিকায়। সেইসব জায়গাগুলোর হোটেলের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিন কত শতাংশ ছাড় বা এজেন্ট কমিশন দিতে প্রস্তুত তারা।
পাশাপাশি পর্যটকদের বেড়াতে নিয়ে গিয়ে কী খাওয়াবেন সেই নিয়েও ভাবনা চিন্তা করুন। হোটেলের খাবার না নিয়ে নিজেরা খাবার ব্যবস্থা করলে লাভ বেশি হবে। তবে সেক্ষেত্রে অব্যশই ভালো বাবুর্চি থাকতে হবে। পাশাপাশি খাবারের মানও ভালো রাখতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ ব্যবসাই হয়ে উঠবে আপনার উপরে ওঠার সিড়ি।
শেষ কথা
শুরুর দিকে যেকোন ব্যবসাই আপনার কাছে কঠিন এবং অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনে হবে। কিন্তু তাই বলে থেমে গেলে চলবে না। উপরে উল্লেখিত লাভজন বিজনেস আইডিয়া গুলো আপনি অনেক কম টাকায় শুরু করতে পারবেন। তাই এখনই বেছে নিন আপনার যেকোন একটি। মনে রাখবেন, আপনার পিছিয়ে পড়ার কারণে হয়ত অনেকেই এগিয়ে যাবে এই প্রতিযোগিতার যুগে।
তাই ঘরে বসে নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে শুরু করে দিন আপনার স্বপ্নের বিজনেস ৷ আশা করি কম টাকায় সবচেয়ে লাভজনক বিজনেস আইডিয়া গুলো আপনাদের ব্যপক কাজে লাগবে।