ক্রায়োসার্জারি কী? “স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখ্যা কর ।

Preparation BD
By -
0

আমার বন্ধু ডাঃ এনাম ফ্রান্সে গেছে ট্রেনিং-এ। ভাইবারে সে বলল ফ্রান্সের সব কাজে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। সেখানে ট্রেনিং সেন্টারে প্রবেশ করতে লাগে সুপারভাইজারের আঙ্গুলের ছাপ এবং অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করতে লাগে চোখ। আমি বললাম “বেশ মজাই তো” সে আরও বলল “গতকাল স্থানীয় বিনোদন পার্কে গিয়ে মাথার হেলমেট ও চোখে বিশেষ চশমা দিয়ে চাঁদে ভ্রমণের অনুভূতি অনুভব করেছি।”

ক. ক্রায়োসার্জারি কী?
খ. “স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকের আলোকে চাঁদে ভ্রমণের প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ট্রেনিং সেন্টার ও অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত প্রযুক্তিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত—— বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও ।

ক. ক্রায়োসার্জারি হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করা যায় ।

খ. স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে ব্লুটুথ ব্যবহার করা হয়।

ব্লুটুথ হচ্ছে স্বল্প দূরত্বের ভেতর ডেটা আদান-প্রদানের জন্য বহুল প্রচলিত ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। এটি তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়র নেটওয়ার্ক প্রটোকল যেখানে উঁচু মানের নিরাপত্তা বজায় থাকে। বর্তমানে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ এবং বাসাবাড়ির বিনোদনের অনেক ডিভাইসে ব্লুটুথ প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

গ. উদ্দীপকে চাঁদে ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা ত্রিমাত্রিক বিশ্ব সৃষ্টি করে এবং যার দৃশ্যমানতা বাহক জীবন্ত। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী যোগান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বলে।

আরো পড়ুন : ন্যানোটেকনোলজি কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উদ্দীপকে কর্মচারীগণ কৃত্রিম পরিবেশে বিশেষ পোশাক পরিধান করে বাস্তবে নয় ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের পর্দায় চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ফলে ডা: এনাম কোন প্রকার শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়ায় পার্কে বসে চাঁদে ভ্রমণের বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে যেকোনো দৃশ্য দেখা ও শোনা যায়। হাতের সাথে সংযুক্ত গ্লোবস দ্বারা প্রয়োজনীয় কোন কমান্ড বা নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সঙ্গে প্রয়োজনীয় দৃশ্যের অবতারণা এবং কোন নির্দিষ্ট কাজের নির্দেশ বাস্তবায়ন করে ব্যবহারকারীকে অনুভবের এক অন্য পৃথিবীতে নিয়ে যায়।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ট্রেনিং সেন্টারের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স এর অন্তর্গত ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং অপারেশন থিয়েটারের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি হচ্ছে আইরিস বা রেটিনা স্ক্যান।

বাংলাদেশে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি বহুল ব্যবহৃত হয় কারণ ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে আইরিস বা রেটিনা স্ক্যান থেকে অনেক সাশ্রয়ী ব্যবহার বান্ধব। সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ প্রযুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো কর্মচারীকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অপটিক্যাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আঙ্গুলের ছাপের ইমেজ নেয়া হয়। ইনপুটকৃত আঙ্গুলের ছাপের বিশেষ কিছু একক বৈশিষ্ট্যকে ফিল্টার করা হয় এবং এনক্রিপ্টেড বায়োমেট্রিক কি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।

ফিঙ্গার প্রিন্টের ইমেজকে সংরক্ষণ না করে সংখ্যার সিরিজকে ভেরিফিকেশনের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেমের এ্যালগরিদম এই বাইনারি কোডকে ইমেজে পুন:রুপান্তর করতে পারে না। ফলে ফিঙ্গার প্রিন্ট নকল করা অনেকাংশে সম্ভব নয় যা একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে ।

অর্থাৎ নানাবিধ সুবিধা থাকার কারণে বাংলাদেশে ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি বহুলভাবে ব্যবহৃত ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !