ডেটা এনক্রিপশন কী? অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্য লিখো।

Preparation BD
By -
0

মি. ‘Y’ তার ল্যাবরেটরিতে প্রবেশের সময় একটি বিশেষ দিকে তাকানোর ফলে ল্যাবের গেট খুলে গেল। তাঁর কক্ষে এসে ফিঙ্গার প্রিন্টের সাহায্যে কম্পিউটার ওপেন করে কিছু তথ্য দেখে নিলেন। অতঃপর দ্বিতীয় কক্ষে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত হলেন ।

ক. ডেটা এনক্রিপশন কী?
খ. অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্য লিখো।
গ. ল্যাবরেটরির গবেষণা পদ্ধতিটি বিশ্লেষণ করো।
ঘ. উদ্দীপকের নিরাপত্তা প্রযুক্তি দুটির তুলনা করো।

ক. ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডেটাকে উৎস হতে গন্তব্যে প্রেরণের পূর্বে যে বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হয় তাকে ডেটা এনক্রিপশন পদ্ধতি বলা হয় অর্থাৎ ডেটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর আগে মূল ফরমেট (যা মানুষের বোধগম্যরূপ থাকে থেকে অন্য ফরমেটে (যা মানুষের বোধগম্য রূপে থাকে না) রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে এনক্রিপশন বলে ।

খ. অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের পার্থক্য নিম্নরূপ:

অ্যালগরিদমফ্লোচার্ট
১. যে পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয় তাকে বলা হয় অ্যালগরিদম।১. যে পদ্ধতিতে চিত্রের সাহায্যে কতকগুলো চিহ্ন ব্যবহার করে সমস্যার ধারাবাহিক সমাধান করা হয় তাকে বলা হয় ফ্লোচার্ট।
২. এটি বর্ণনামূলক ।২. এটি চিত্রভিত্তিক।
৩. প্রোগ্রাম প্রবাহের দিক বোঝা যায় না।৩. প্রোগ্রাম প্রবাহের দিক সহজে বোঝা যায়।

গ. ল্যাবরেটরির গবেষণা পদ্ধতিটি হলো রিকম্বিনেট ডিএনএ নিয়ে গবেষণা। রিকম্বিনেট ডিএনএ নিয়ে গবেষণা হয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। যে পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজনে কোনো জীবের জিনোমের মধ্যে নতুন জিন যোগ করে বা কোনো জিন অপসারণ করে বা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে জিন বেশি ব্যবহার উপযোগী করা হয়, সেই পদ্ধতিকে জিন প্রকৌশল বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।

সংক্ষেপে বলা যায়, কোনো জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। জিন প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো বিশেষ জিনকে ক্রোমোজোমের ডিএনএ (DNA) অণু থেকে পৃথক করে তাকে কাজে লাগানো। এই পৃথকীকৃত জিনকে কোনো জীবকোষে প্রবেশ করিয়ে বা কোষ হতে সরিয়ে উক্ত জীবটির বৈশিষ্ট্যের বংশগতি বদলে দেওয়া সম্ভব।

আরো পড়ুন :

ঘ. মি. Y ল্যাবরেটরিতে প্রবেশ ও কম্পিউটার ওপেন করার সময়ে ব্যবহৃত পদ্ধতি দুটি হলো বায়োমেট্রিক্স। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচার- আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা যায়। বায়োমেট্রিক্স এর মূল কাজই হচ্ছে প্রতিটি মানুষের যে অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে তাকে খুঁজে বের করা এবং প্রতিটি মানুষকে সেই বৈশিষ্ট্যের আলোকে পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করা ।

মি. Y ল্যাবরেটরিতে প্রবেশের সময় একটি বিশেষ দিকে তাকানোর ফলে প্রবেশদ্বার খুলে গেল। সুতরাং এখানে চোখের রেটিনা বা আইরিস ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যদিকে কম্পিউটার ওপেন করার সময়ে হাতের আঙ্গুল ব্যবহৃত হলো। এখানে প্রবেশের ও কম্পিউটার ওপেন উভয় ক্ষেত্রেই বায়োমেট্রিক্স ব্যবহৃত হয়েছে। প্রবেশের সময় ব্যবহৃত চোখের রোটিনা দ্বারা নিরাপত্তায় ব্যবহৃত মেশিন অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

তাছাড়া এই পদ্ধতিতে ডেটা রিকগনিশন ও ভেরিফিকেশন করা ঝামেলাপূর্ণ। অন্যদিকে কম্পিউটার ওপেন এর সময় ব্যবহৃত আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার মেশিনটি কম দামী ঔ সহজ লভ্য। তাছাড়া এখানে ডেটা রিকগনিশন ও ভেরিফিকেশন করা অত্যন্ত সহজ। তাই মি. Y ল্যাবরেটরিতে প্রবেশের সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তিটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !