কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী? টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা- বুঝিয়ে লিখো।

Preparation BD
By -
0

ডা. ইশরাত শহরের কর্মস্থলে অবস্থান করেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি কৃত্রিম পরিবেশে অপারেশনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ক. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?
খ. টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা- বুঝিয়ে লিখো ।
গ. ডা. ইশরাত কীভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ডা. ইশরাতের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি প্রাত্যহিক জীবনে কী প্রভাব রাখছে? আলোচনা করো ।

ক. মানুষের চিন্তা ভাবনার অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

খ. ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্যে বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও চিকিৎসা সুযোগ প্রদান ও গ্রহণ করাকে টেলিমেডিসিন বলা হয়। এটা কোন নতুন প্রযুক্তি নয় বরং এটা এক ধরণের সেবা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অন্য প্রান্তে অবস্থিত রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশের নাগরিকেরা বর্তমানে ই-মেইল, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে ।

গ. উদ্দীপকের ডা. ইশরাত যেভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন তাহলো টেলিমেডিসিন। ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্যে বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও চিকিৎসা সুযোগ প্রদান ও গ্রহণ করাকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।

এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একদেশে অবস্থান করে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা গ্রহন করা যায়। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারদের নিকট থেকে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহন করতে পারে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকেরা টেলিমেডিসিনের যাহায্যে শহরের ডা. ইশরাতের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি গ্রামের লোকদের দ্রুত হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক টেলিমেডিসিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রামের লোকদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন ।

আরো পড়ুন :

ঘ. ডা. ইশরাতের প্রশিক্ষনে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা কিংবা কল্পবাস্তবতা বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রি-মাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভব।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে ।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মাল্টিসেন্সর হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টার সেন্সসমূহের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত থাকে যা মানব ব্যবহারকারীদেরকে কম্পিউটার-সিমুলেটেড অবজেক্ট, স্পেস, কার্যক্রম এবং বিশ্বকে একবারে বাস্তবের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানে সক্ষম করে তোলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা সৃষ্টি করে ত্রি-মাত্রিক বিশ্ব এবং জীবন্ত দৃশ্য।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাস্তব দৃষ্টিগ্রাহ্য জগৎ তৈরি করা হয় যা উচ্চমাত্রায় তথ্য বিনিময় মাধ্যমের কাজ করে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তব জীবনে যেসব কাজ করা হয় তা নিম্নরূপ :

  • চিকিৎসাক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
  • রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিং নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ফ্লাইট সিমুলেশন করা হয়।
  • মহাশূন্য অভিযানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয় ।
  • খেলাধুলায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
  • সামরিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশিক্ষনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
  • ভিডিও গেমস তৈরিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয় ।
  • ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
  • বিভিন্ন ইমেজ সংরক্ষণ ও দৃশ্যধারণ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
  • নগর পরিকল্পনায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !