বায়োইনফরম্যাটিক্স কী? বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।

Preparation BD
By -
0

জয়িতা চৌধুরী পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রজেক্ট পেপার তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে থাকে। সে নিয়ম মেনে প্রতিটি তথ্যের উৎস উল্লেখ করে। ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য হতে সে এমন একটি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছে যা দিয়ে অণুর গঠন দেখা সম্ভব। তবে জয়ন্ত ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ফাইলের সফটকপি সংগ্রহ করে কোনোরূপ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ছাড়াই নিজের নামে প্রকাশ করে।

ক. বায়োইনফরম্যাটিক্স কী?
খ. বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রযুক্তিটির ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরী ও জয়ন্তের আচরণ মূল্যায়ন কর ।

আরো পড়ুন : ভিডিও কনফারেন্সিং কী? “বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব”- বুঝিয়ে লিখ।

ক. জীববিজ্ঞানের সমস্যাগুলো যখন কম্পিউটার প্রযুক্তি কৌশল ব্যবহার করে সমাধান করা হয়, তখন সেটাকে বলা হয় বায়োইনফরমেটিক্স।

খ. বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব। উক্ত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা ত্রিমাত্রিক বিশ্ব সৃষ্টি করে এবং যার দৃশ্যমানতা বাহক জীবন্ত। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেগকারী যোগান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বলে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশে বিশেষ পোশাক পরিধান করে বাস্তবে নয় ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের পর্দায় যেমন গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ঠিক তেমন শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়ায় রাস্তায় গাড়ি চলানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।

গ. জয়িতা চৌধুরী অনুর গঠন সম্পর্কে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে ডিএনএ-এর প্রোটিনের পুনরায় সমন্বয় করে নতুন বৈশিষ্ট্যের জীব তৈরির প্রক্রিয়া ।

বর্তমানে DNA প্রযুক্তির কারণে কোনো বস্তুর অন্তর্গত জিনকে কোনো জীবকোষে প্রবেশ করিয়ে বা কোষ হতে সরিয়ে উক্ত জীবটির বৈশিষ্ট্যের বংশগতি, বদলে নতুন উন্নত জাতের বস্তু সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই DNA কে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র এককোষী আবাদি জীব তথা ব্যাকটেরিয়া থেকে মানবদেহে, উদ্ভিদকোষ থেকে প্রাণীদেহে এবং প্রাণীকোষ থেকে উদ্ভিদদেহে স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে।

ঘ. তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরি ও জয়ন্তের আচরণ নিচে মূল্যায়ন করা হলো-

নৈতিক মূল্যবোধ হলো সুনির্দিষ্ট কিছু নৈতিক ধারণা, যা মানুষ নিজের ভেতর ধারণ করে এবং এগুলো কারো সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়। জয়িতা চৌধুরী অনুর গঠন সম্পর্কে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রজেক্ট পেপার তৈরি করেন। তিনি তার প্রজেক্ট পেপারে বিভিন্ন তথ্যের উৎস উল্লেখ করে নৈতিকতার পরিচয় দিয়েছেন। যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে ।

অপরদিকে জয়ন্ত অন্যের লেখা কপি করে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন। যা প্লেজারিজম নামে পরিচিত। এটি একটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরী সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে চললেও জয়ন্তের আচরণ সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিরোধী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !