বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ডেটাবেজ আছে । উক্ত ডেটাবেজে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য, সিগনেচার, ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি সংরক্ষিত আছে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ব্যাংক, পাসপোর্ট, লাইসেন্স ইত্যাদি কাজে ব্যক্তিকে সনাক্তকরণে উক্ত ডেটাবেজ ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বায়োলজিক্যাল ডেটা সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে তৈরিকৃত ন্যাশনাল ডেটাবেজের তথ্য নিরাপদ রাখার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও রেজিস্টার্ড অপারেটিং সিস্টেম, এন্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা হয়। দেশের অথবা দেশের বাইরের যেকোনো প্রতিষ্ঠান নিজ অফিস থেকে অনুমতি সাপেক্ষে উক্ত ডেটাবেজ ব্যবহার করতে পারে।
ক. ন্যানোটেকনোলজি কী?
খ. “হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকাণ্ড”- ব্যাখ্যা করো।
গ. উক্ত ডেটাবেজ তৈরি করতে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে একটি নির্ভুল ডেটাবেজ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ডেটাবেজের নিরাপত্তার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।
ক. ন্যানোটেকনোলজি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ন্যানোমিটার স্কেলে একটি বস্তুকে বা পদার্থকে তার আনবিক পর্যায়ে রেখে নিপুনভাবে ব্যবহার করা যায় অর্থ্যাৎ এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায় ।
খ. প্রোগ্রাম রচনা এবং প্রয়োগের মাধ্যমে অনুমতি ব্যতীত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে অন্যের কম্পিউটার ব্যবহার করা বা পুরো কম্পিউটার সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতি করাকে হ্যাকিং বলে। যে হ্যাকিং করে তাকে হ্যাকার বলে। এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড ।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত ডেটাবেজ তৈরিতে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে ব্যক্তি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে মানুষের কতগুলো জৈবিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্যকে ব্যবহার করা হয়। এরূপ একটি পদ্ধতি হচ্ছে জৈবিক বা শারীরিক পদ্ধতির ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য রাখার ডেটাবেজে ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতির বায়োমেট্রিক্স ব্যবহৃত হয়েছে।
অন্যদিক বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের পরিচয় সনাক্তকরণ কাজেও ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতির বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। কেননা, এটি একটি সহজ ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একজনের ফিঙ্গার প্রিন্ট কখনও অন্য একজনের প্রিন্টের সাথে মিলবে না। যা একক ও অদ্বিতীয় ভাবে শনাক্তকরণ করা যায়।
বায়োমেট্রিক্স সিস্টেম একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা। এর জন্য আগে থেকে একটি সফটওয়্যার তৈরি করে নিতে হয় এবং যে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করা হবে তার জন্য উপযুক্ত হার্ডওয়্যার অর্থ্যাৎ স্ক্যানিং ডিভাইস প্রয়োজন হয়। বায়োমেট্রিক সিস্টেম দুটি পর্যায়ে কাজ করে; প্রথমত, কোনো ব্যক্তির বায়োমেট্রিক্স ডেটা বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস দ্বারা স্ক্যান করে ভেরিফিকেশনের জন্য ডেটাবেজে রেখে দেয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, ভেরিফিকেশনের সময় উক্ত ব্যক্তির স্ক্যানকৃত বায়োমেট্রিক্স ডেটা, ডেটাবেজে রক্ষিত ডেটার সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। যদি নতুন স্ক্যানকৃত ডেটা ডেটাবেজে রক্ষিত ডেটার সাথে পুরোপুরি মিলে যায় তাহলে সিস্টেমটি উক্ত ব্যক্তিকে চিনতে পারে। আর না মিললে উক্ত ব্যক্তিকে চিনতে পারেনা।
আরো পড়ুন :
- হ্যাকিং কী? “যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে”- ব্যাখ্যা কর।
- রোবটিক্স কী? হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে? “টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা বুঝিয়ে লিখ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? “স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখ্যা কর ।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োমেট্রিক্স কী? “ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব”— বুঝিয়ে লেখ।
- ই-কমার্স কী? নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায়?
- প্লেজারিজম কী? “ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়”- ব্যাখ্যা করো।
- ই-মেইল কী? “বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ডই কানেক্টিভিটি”- বিশ্লেষণ করো।
- রোবটিক্স কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োইনফরম্যাটিক্স কী? বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
- ভিডিও কনফারেন্সিং কী? “বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব”- বুঝিয়ে লিখ।
- ই-কমার্স কী? ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানো টেকনোলজি কী? নিম্ন তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? “তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক”– বুঝিয়ে লেখ ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত ডেটাবেজের নিরাপত্তামূলক গৃহীত ব্যবস্থা সমূহ খুবই কার্যকর।
ডেটাবেজের নিরাপত্তার জন্য উদ্দীপকের আলোকে গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ হচ্ছে: • ব্যক্তির তথ্য নিরাপদ রেখে ব্যক্তিকে সনাক্তকরনে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি। ব্যাক্তি সনাক্তকরনে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি খুবই কার্যকর। সে সার্ভারে ডেটাবেজ রাখা হবে তাতে রেজিষ্টার্ড অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার।
অনেক সময় সফটওয়্যার পাইরেসি করে কম দামে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় যা খুব সহজে হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে অনুমতি ব্যতীত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে অন্যের কম্পিউটার ব্যবহার করা বা পুরো কম্পিউটার সিস্টেমকে মোহাচ্ছন্ন করে কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতি করাকে হ্যাকিং বলে। এন্টি ভাইরাস ও ফায়ারওয়াল ব্যবহার। এর ফলে কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত থাকবে এবং সাচ্ছন্দে কাজ করা যাবে।
অন্যথায় অনেক সময় ভাইরাসের আক্রমনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় তথ্য নষ্ট হলে তা খুবই বিপদজনক একটি বিষয়। অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ এ ডেটাবেজ ব্যবহার করতে পারবে না। উদ্দিপকে উল্লেখিত পদক্ষেপসমূহ খুবই কার্যকর এবং নিরাপদ।