করিমের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অপেক্ষাকৃত কম শ্রমে, দ্রুত উৎপাদন হয় এবং কীট প্রতিরোধী বিশেষ ফসল উদ্ভাবন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবে প্রবেশ করতে হলে চোখের রেটিনা পরীক্ষা করিয়ে ঢুকতে হয় ।
ক. বায়োইনফরম্যাটিক্স কী?
খ. চিকিৎসা ক্ষেত্রে ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার মানব সভ্যতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ল্যাবে প্রবেশের সময় কর্মীদের সনাক্তকরণের উত্ত পদ্ধতিটি বর্ণনা করো।
ঘ. “উক্ত পরিস্থিতিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ব্যবহার করে ঝুঁকি কমানো সম্ভব’- তথ্য প্রযুক্তির আলোকে আলোচনা করো ।
ক. বায়োইনফরম্যাটিক্স হলো বিজ্ঞানের সেই শাখা যা বায়োলজিক্যাল ডেটা অ্যানালাইসিস করার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তি, ইনফরমেশন থিওরি এবং গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে ডেটা অন্তর্ভুক্ত করে ডিএনএ, অ্যামিনো এসিড এবং নিউক্লিক এসিডসহ অন্যান্য বিষয়কে ।
খ. ন্যানোটেকনোলজি পদার্থকে আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করার বিদ্যা। অর্থাৎ ন্যানোটেকনোলজি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ন্যানোমিটার স্কেলে একটি বস্তুকে নিপুণভাবে ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায়। বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ড্রাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে যা সেবনে রোগীরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা যাবে।
এই প্রযুক্তির ফলে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষে আরো সুক্ষভাবে ওষুধ পৌঁছে যাবে। এইজন্য ব্যবহৃত হবে কার্বন ন্যানোটিউব দ্বারা তৈরি ন্যানো সূঁচ। এই সুঁচের একপাশে থাকবে বিশেষ ধরণের প্রতিপ্রভ পদার্থ যার আলোক এর সাহায্যে নির্দিষ্ট রোগাক্রান্ত কোষ নিশ্চিত করা যাবে। ফলে নির্দিষ্ট কোষে ওষুধ দেয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা যাবে। ন্যানোসিলভার ব্যবহার করে সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয় যা ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরি করার গবেষণা চলছে।
গ. উদ্দীপকে ল্যাবে প্রবেশের সময় ব্যক্তি শনাক্তকরণের পদ্ধতিটি হলো বায়োমেট্রিক্স। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা যায় ।
বায়োমেট্রিক্স এর মূল কাজই হচ্ছে প্রতিটি মানুষের যে অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে তাকে খুঁজে বের করা এবং প্রতিটি মানুষকে সেই বৈশিষ্ট্যের আলোকে পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। কম্পিউটার পদ্ধতিতে নিখুঁত নিরাপত্তার জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার হয়।
এ পদ্ধতিতে মানুষের বায়োলজিক্যাল ডেটা কম্পিউটারের ডেটাবেজে সংরক্ষিত করে রাখা হয় এবং পরবর্তিতে এসব ডেটা নিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিলিয়ে দেখা হয়। ডেটাতে মিল পেলে তা বৈধ বলে বিবেচিত হয় এবং অনুমতিপ্রাপ্ত হয় ।
অফিসের সমস্ত কর্মীদের চোখের রেটিনার প্যাটার্ন আগে থেকেই অফিসের ডেটাবেজে রক্ষিত ছিল। তাই অফিসে প্রবেশের সময় কর্মীদের চোখের রেটিনা ক্যামেরাই স্ক্যান স্ক্যানকৃত প্যাটার্ন ডেটাবেজে প্রেরণ করে। যাদের রেটিনার প্যাটার্ন ডেটাবেজের প্যাটার্ণের সাথে মিলে যায় কেবল তারাই অফিসে ঢুকতে পারে ।
আরো পড়ুন :
- হ্যাকিং কী? “যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে”- ব্যাখ্যা কর।
- রোবটিক্স কী? হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে? “টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা বুঝিয়ে লিখ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? “স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখ্যা কর ।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োমেট্রিক্স কী? “ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব”— বুঝিয়ে লেখ।
- ই-কমার্স কী? নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায়?
- প্লেজারিজম কী? “ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়”- ব্যাখ্যা করো।
- ই-মেইল কী? “বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ডই কানেক্টিভিটি”- বিশ্লেষণ করো।
- রোবটিক্স কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োইনফরম্যাটিক্স কী? বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
- ভিডিও কনফারেন্সিং কী? “বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব”- বুঝিয়ে লিখ।
- ই-কমার্স কী? ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানো টেকনোলজি কী? নিম্ন তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? “তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক”– বুঝিয়ে লেখ ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. Office Automation System বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির পাশাপাশি বিভিন্ন লার্নিং সিস্টেম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে । শ্রমিক কর্মচারীদের মুখাবয়ব, আঙ্গুলের ছাপ চোখের রোটিনা ইত্যাদি পূর্ব থেকে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে এবং বিভিন্ন অটো এলার্মিং সিস্টেম যেমন- অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ পৌঁছে যাওয়া ইত্যাদি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে ।
উপরোক্ত পরিস্থিতিতে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা অফিস আদালতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপরোক্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আধুনিক স্বয়ংক্রিয়, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করে ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।