২৯ জুলাই ২০২৩ কয়লাচালিত মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালু করা হয়। এ ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ মেগাওয়াট। পুরো প্লান্টে প্রতিদিন ১০,০০০ টন ও প্রতিটি ইউনিটে ৫,০০০ টন কয়লা প্রয়োজন হবে। জাহাজ থেকে সরাসরি ট্যাংকে কয়লা আনলোড করার জন্য প্রকল্প এলাকায় ২টি জেটির পাশাপাশি ১.৭ মিলিয়ন টন স্টোরেজ ক্ষমতার ৪টি ট্যাংক নির্মিত হয়েছে।
ট্যাংকগুলোর ৬০ দিনের জন্য কয়লা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১,৪১৪ একর জমির ওপর ১,২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপিত হচ্ছে।
১২ আগস্ট ২০১৪ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মাতারবাড়ীতে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩৫,৯৮৪.৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১৭ সালে জুলাইয়ে জাপানের ৩টি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ (CPGCBL)।
২৮ জানুয়ারি ২০১৮ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ২৩ নভেম্বর ২০২১ একনেক মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন করে। প্রকল্পটিতে ব্যয় দাঁড়ায় বেড়ে ৫১,৮৫৪.৮৮ কোটি টাকা।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো- অপারেশন এজেন্সির (JICA) অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে ।