বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্রিটিশ আমল থেকে রেল চলাচল করত। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এ রেলপথগুলো বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ রেললাইন সংস্কার করে পুনরায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেলসংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এছাড়া নতুন করে ২টি রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে । যার মধ্যে অন্যতম আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ ।
পটভূমি : ত্রিপুরার আগরতলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এরপর ১৬ আগস্ট ২০১৬ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণে (বাংলাদেশ অংশ) ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে।
তারপর একে পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর। তবুও শেষ হয়নি ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’র কাজ। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ একনেক সভায় চতুর্থবারের মতো প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
১৬ আগস্ট ২০২৩ আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয় ।
FACT FILE
- কাজ শুরু: জুলাই ২০১৬
- ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর : ২১ মে ২০১৩।
- রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ব্যয় : ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ (এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা)
- রেলপথের দৈর্ঘ্য : ১২.২৪ কিমি
- রেলপথের ধরন : ডুয়েলগেজ (বাংলাদেশ) ও ব্রডগেজ (ভারত) ।
- মোট স্টেশন : ৪টি— আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন, গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন, নিশ্চিন্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন।
- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান : টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ।
- উদ্বোধন : সেপ্টেম্বর ২০২৩।
আগাম বার্তা ২০২৩
- ১৬ সেপ্টেম্বর : মেট্রোরেলের লাইন-৫ (নর্দার্ন রুট)-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন ।
- ২০ অক্টোবর : মেট্রোরেলের লাইন-৬-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ চালু করা হবে ।
- ২২ অক্টোবর : তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ১৪০টি সেতু, ১২টি ওভারপাস ও যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা Vehicle Inspection Centre (VIC) উদ্বোধন ।
- ২৮ অক্টোবর : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।