খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প

Preparation BD
By -
0

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য পরিবহণে সাশ্রয় ও সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ২১ ডিসেম্বর ২০১০ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। 

প্রথম দফায় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১,৭২১:৩৯ কোটি টাকা। এরপর দুই দফা সংশোধনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪,২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা । প্রকল্পটির কাজ ৩টি ভাগে বিভক্ত-রূপসা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন। এরমধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল । 

রূপসা রেলসেতু : ‘রূপসা রেলসেতু’ খুলনার রূপসা নদীর ওপর নির্মিত। এটি মোংলা বন্দরের সাথে খুলনা তথা সমগ্র বাংলাদেশের রেল সংযোগ করবে। সংযোগ রেললাইনসহ এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৫.১৩ কিমি। এর স্প্যান সংখ্যা ১৪২টি, পাইল ৮৩৬টি এবং পিয়ার ক্যাপ ১৩২টি ।

FACT FILE 

  • একনেকে অনুমোদন : ২১ ডিসেম্বর ২০১০। 
  • কাজ শুরু : ২০১৬ সালে। 
  • ব্যয় : ৪,২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা 
  • মোট স্টেশন : ৮টি— ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাগা ও মোংলা রেল স্টেশন। 
  • রেলপথের দৈর্ঘ্য : ৯০ কিমি (৬৪.৭৫ কিমি মেইন লাইন এবং ২১.১১ কিমি লুপ লাইন) । 
  • রেলপথের ধরন : ব্রডগেজ 
  • পরামর্শক প্রতিষ্ঠান : ভারতের সিইজি নিপ্পন কোয়ি জেভি। 
  • ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান : ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো । আর ট্র্যাক লিংকিং করছে আরেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল 
  • অন্যান্য অবকাঠামো : ৩১টি ছোট-বড় সেতু, ১১২টি কালভার্ট, রূপসা নদীর ওপর ৭১৬.৮০ মিটার সেতু এবং ১০৭টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাস 
  • উদ্বোধন : সেপ্টেম্বর ২০২৩।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !