বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীতে প্রথমে সৃষ্টি হয়েছে কঠিন পাথর সমৃদ্ধ পাহাড় পর্বত। তারপর এইসব পাহাড় পর্বত থেকে নিসৃত বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়শিলা থেকেই মাটির সৃষ্টি। পাহাড় পর্বত থেকে নিসৃত আগ্নেয়শীলা বিভিন্ন রূপান্তরের মাধ্যমে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে।
এই ক্ষয়প্রাপ্ত শিলা থেকেই মাটির সৃষ্টি। তবে এই পরিবর্তন লক্ষ কোটি বছর ধরে হয়েছে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর উপরিভাগে জমে থাকা আগ্নেয়শিলা সূর্যকিরণ এবং বাতাসের সাহায্যে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমুদ্রের তলদেশে জমা হতে থাকে।
এই শিলার নাম 'পাললিক শিলা'। পরবর্তীতে ক্রমে ক্রমে . এইসব, স্তরিভূত শিলার সাথে মেশে বিভিন্ন খনিজপদার্থ ও উদ্ভিদের দেহাবশেষ । বহু লক্ষ কোটি বছর ধরে ধীরে ধীরে জমতে থাকা এইসব শিলা চূর্ণ- বিচূর্ণ হতে থাকে নানা প্রাকৃতিক রূপান্তরের মাধ্যমে।
পরবর্তীতে এগুলো রূপ নেয় মাটির। শিলা থেকে তৈরি বলে মাটির সাথে পানি ও বাতাসের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে পানি ও বাতাসের ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মাটির প্রকারভেদ সৃষ্টি হয়েছে।
এই কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফসল জন্মানো হয়ে থাকে । লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনে মাটি হয়ে উঠেছে মানুষের খাদ্য তথা সভ্যতা বিকাশের অন্যতম উৎস।