বিশ্বের সবচেয়ে বড় পান্না
বিশ্বের অন্যতম দামি ও দুর্লভ রত্ন ‘পান্না । ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ও রিচার্ড কাপেটা এবং তাদের দল জাম্বিয়ার কপারবেল্ট প্রদেশের কাজেম খনি থেকে একটি রত্নপাথর আবিষ্কার করেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পান্না হিসেবে ১,৫০৫ গ্রাম বা ৭,৫২৫ ক্যারেটের এ রত্নটির নাম ওঠে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ পান্নার নাম দেওয়া হয় চিপেমবেল । জাম্বিয়ার স্থানীয় বাঘা ভাষায় যার অর্থ ‘গন্ডার’। ২০১০ সালে ও ২০১৮ সালে জাম্বিয়ার কাজেম খনি থেকেই আরও দুটি বড় পান্না পাওয়া যায়। সেগুলোর নাম ও ওজন যথাক্রমে ইনফোসু ১,২৪৫ গ্রাম এবং ইনকালামু ১,১৩১ গ্রাম। ইনফোসু অর্থ ‘হাতি’ আর ইনকালামু অর্থ ‘সিংহ’ ।
রুটি দিয়ে শিল্পকর্ম
নভেম্বর ২০২২ মেক্সিকোর পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের পুয়েবলা শহরের জাকালাতে রেকর্ড গড়ার উদ্দেশ্যে রুটি দিয়ে একটি শিল্পকর্ম বানানো হয়। এটিকে রুটি দিয়ে বানানো সবচেয়ে বড় শিল্পকর্ম বলা হয়। এটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও লাভ করে । লাল, হলুদ, কালো আর গোলাপি রঙের মিশেলে তৈরি শিল্পকর্মটি। স্থানীয় পাঁচজন, রুটির কারিগর শুরুতে অসংখ্য ছোট ছোট রঙিন রুটি তৈরি করেন । পরে সেগুলো জোড়া দিয়ে বানানো হয় আস্ত একটি শিল্পকর্ম। এটি তৈরিতে দরকার হয় ২০,৬৮৯টি রুটির টুকরা। শিল্পকর্মটির আয়তন ২,২২২ বর্গফুট।
৬১ বছরে ৮৮ বিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার মাজালেঙকারের বাসিন্দা কান । জীবনের ৬১ বছর পার না হতেই ৮৭টি বিয়ে করেন তিনি । এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৮৮তম বিয়ের। পেশায় তিনি কৃষক। একের পর এক বিয়ে করায় তার নাম এখন ‘ইন্দোনেশিয়ার প্লে বয় কিং’। তার বয়স যখন ১৪ বছর, তখন তিনি প্রথম বিয়ে করেন । কানের প্রথম স্ত্রী তার চেয়ে বয়সে দুই বছরের বড় ছিল। দুর্বল মানসিকতার কারণে বিয়ের দুই বছরের মাথায় তার স্ত্রী বিচ্ছেদ নেন। এ ঘটনায় কান বেশ রেগে যান আর এ জন্য বহু বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন ।
আরো পড়ুন : Guinness world records 2021 গিনেস বিশ্ব রেকর্ড ২০২১
৩,৭৩১ বার দড়িলাফ
ফিলিপাইনের নাগরিক রিয়ান অ্যালোনজো ‘স্কিপম্যান’ হিসেবে পরিচিত। ৩৫ বছর বয়সি এ ‘স্কিপম্যান’ টানা ৩,৭৩১ বার দড়িলাফ দেন । এর আগে এই রেকর্ড ছিল ২,৪০৫ বার লাফ দেওয়ার । এই রেকর্ড করার ক্ষেত্রে প্রতি একবার লাফে দুবার দড়ি পায়ের নিচ দিয়ে পার করেন তিনি । নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি দৌড়, বক্সিং ও বাস্কেটবল খেলেছেন। ফিলিপাইনের এই শরীরচর্চাবিদ যে শুধু একধরনের দড়িলাফে অভ্যস্ত, এমনটা নয় । তিনি বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করেছেন ।
মিনিটে ১১৪০ বার হাততালি
যুক্তরাষ্ট্রের ডাল্টন মেয়ার সবচেয়ে দ্রুত হাততালি দিয়ে রেকর্ড গড়েন। ডাল্টনের বয়স ২০ বছর। হাইস্কুলে পড়ার সময় শিখতে থাকেন হাততালি দেওয়ার কৌশল । এখন এক মিনিটে টানা ১,১৪০ বার হাততালি দিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান ডাল্টন। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ১৯ বার হাততালি দেন তিনি । এর আগে এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি ১,১০৩ বার হাততালি দেওয়ার বিশ্ব রেকর্ড ছিল এলি বিশপের।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্ৰ
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্রের খেতাব দখলে রেখেছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের তাশিঙ্গা। এই ভোট কেন্দ্রের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫,২৫৬ মিটার। আর বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোটকেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা মাত্র ৫২ জন। ১২ নভেম্বর ২০২২ হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচনে ৬৮ আসনের বিপরীতে লড়েন ৪১২ প্রার্থী। বিশ্বের উচ্চতম লিং স্টেশন লালহোউল এবং স্পিতিতে এদিন ৯৮.০৮% মানুষ ভোট দেন ।
পুরো গ্রাম বিক্রি
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে পর্তুগাল সীমান্তবর্তী জামোরা প্রদেশের সালতো দে ক্যাস্ত্রো নামের একটি গ্রাম ২,৬০,০০০ ইউরোতে বিক্রি করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয় । নভেম্বর ২০২২ গ্রামটির মালিক রনি রদ্রিগেজ এ ঘোষণা দেন। আশ্চর্য শোনালেও পুরো একটি গ্রাম বিক্রি করে দেওয়ার জন্য সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। এ গ্রামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে । গ্রামটি যেখানে অবস্থিত, সে এলাকাটি ‘শূন্য স্পেন’ নামে পরিচিত। জলাধার তৈরি করা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য ১৯৫০ সালের দিকে স্পেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা ইবারডুরো গ্রামটি তৈরি করে। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের শেষ দিকে গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ২০০০ সালের দিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রনি রদ্রিগেজ গ্রামটি কিনে নেন। এরই মধ্যে ৩০০ জনের বেশি মানুষ গ্রামটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গিনেস বুকে প্রেন চ্যং
ফুটবলে পারদর্শী পাহাড়ের বিস্ময়কর বালক প্রেন চ্যং ম্রো। ২ নভেম্বর ২০২২ তিনি পারদর্শিকতায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি লাভ করেন। ২৪ এপ্রিল ২০২২ এক মিনিটে সর্বোচ্চ ২০৮ বার পায়ের টোকা (টো ট্যাপ) দিয়ে এ রেকর্ড গড়েন বান্দরবানের তরুণ প্রেন চ্যং ম্রো । এর আগে এ রেকর্ডটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুন্তাকিমুল ইসলামের দখলে ছিল । এক মিনিটে ২০৭ বার টোকা দিতে সক্ষম হন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মধ্যে এটিই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক রেকর্ড। প্রেন চ্যং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্সেস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।