ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্সই এফ-কমার্স (F-Commerce) নামে পরিচিত। এটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের (এসএমএম) একটি শাখা। অল্প পুঁজিতে, এমনকি বিনা পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায়।
এতে কোনো দোকানঘর লাগে না; ব্যবসা পরিচালনা করা যায় ঘরে বসেই। দেশের যেখানেই থাকুন না কেন, ক্রেতার চাহিদামতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারলে এ ব্যবসায় সাফল্য আসবেই। এফ-কমার্সে কোনো ওয়েবসাইটের দরকার হয় না। ব্যবসা পরিচালনা করা যায় ফেসবুকে— একটি ব্যবসায়িক পেজ খুলে।
এতে থাকে বিভিন্ন পণ্যের ছবি, বিবরণ, মূল্যতালিকা, যোগাযোগের ঠিকানা প্রভৃতি তথ্য। এখানে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে থাকে না। পণ্য বা সেবা নিতে হলে ফেসবুক পেজে পণ্যের অর্ডার দিতে হয়।
চাইলে শোরুমে গিয়েও ক্রেতা বা গ্রাহক পণ্য বা সেবা নিতে পারেন। তরুণ প্রজন্মের ৮০ ভাগের বেশি এখন ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এফ-কমার্স বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এফ-কমার্সের যাত্রা অনেক আগে থেকে হলেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে ২০১২ সালের পর থেকে।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- কর্মসংস্থানে স্টার্টআপের ভূমিকা
- দারিদ্র্য বিমােচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন : শেখ হসিনা মডেল
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই)
- এলসি (ঋণপত্র)
- বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির উৎস
- এসএমই খাতে গুচ্ছভিত্তিক অর্থায়ন করবে ব্যাংক
- বাংলা বন্ড
- ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
- স্মার্ট বাংলাদেশ
- নেকড়ে যােদ্ধা কূটনীতি
তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সাল থেকে এর বাজারে একধরনের বিস্ফোরণ তৈরি হয়েছে। করোনাকালে এফ-কমার্সের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। আইডিএলসি মান্থলি বিজনেস রিভিউতে (ফেব্রুয়ারি ২০১৯) প্রকাশিত ইমার্জেন্স অব এফ-কমার্স স্টার্টআপস প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ঢাকাতেই নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২২ মিলিয়ন।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী ৮৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। দেশে এফ-কমার্স মার্কেটের আকার প্রায় ৩১২ কোটি টাকা। সরকারের প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত সহযোগিতা পাওয়া গেলে এফ-কমার্স হতে পারে একটি আদর্শ ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যম এবং এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলা সম্ভব।