২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল। যানজটের কারণে যখন রাজধানীবাসীর নাকাল হওয়ার দশা, তখন যেন স্বস্তির শীতল হাওয়া বইয়ে দিচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল।
মেট্রোরেল
মেট্রোপলিটন রেল-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো মেট্রোরেল। মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো স্পর্শ করে গণপরিবহনের জন্য প্রতিষ্ঠিত রেলব্যবস্থাই মেট্রোরেল। একে র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেমও বলা হয়। এটি একটি বিদ্যুৎচালিত, দ্রুতগামী, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নিরাপদ নগরকেন্দ্রিক রেলব্যবস্থা। আধুনিক নগর পরিকল্পনায় ও যানজট নিরসনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী দ্রুত পরিবহনে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম মেট্রোরেল ।
ইতিহাস
১৮৬৩ সালে লন্ডনে প্রথম দ্রুত ট্রানজিট রেলব্যবস্থা চালু করা হয়, যা এখন ‘লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড’-এর একটি অংশ। ১৮৬৮ সালে নিউইয়র্কে প্রথম দ্রুত ট্রানজিট রেলব্যবস্থা চালু হয় ৷ ১৯০৪ সালে নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে প্রথমবারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপান প্রথম ১৯২৭ সালে পাতাল রেলব্যবস্থা তৈরি করে। ১৯৭২ সালে ভারতের কলকাতায় মেট্রোরেল নির্মাণ শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বের ৫৬টি দেশের ১৭৮টি শহরে ১৮০টি দ্রুত ট্রানজিট রেলব্যবস্থা চালু রয়েছে।
বাংলাদেশে মেট্রোরেল
বাংলাদেশে মেট্রোরেল সম্পূর্ণরূপে একটি নতুন ধারণা। যানজট নিরসন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার তৈরি করে ‘ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথোরিটি’। ঢাকায় নির্মাণাধীন শহরভিত্তিক রেলব্যবস্থা হচ্ছে ঢাকা মেট্রোরেল যা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট’ বা এমআরটি (MRI) নামে পরিচিত। ২০১৩ সালে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, যার অধীনে প্রথমবারের মতো ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে প্রণীত সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রোরেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (DMTCL)। এটি ৩ জুন ২০১৩ প্রতিষ্ঠা করা হয় । এটি সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
আরো পড়ুন : ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
মেট্রোরেলের ২৪ সেট ট্রেনের নকশা প্রণয়ন ও তৈরির দায়িত্বে রয়েছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ DMTCL এবং কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ছয়টি কোচ নিয়ে একটি ট্রেন সেট গঠিত। ২১ এপ্রিল ২০২১ জাপান থেকে মেট্রোরেলের প্রথম সেট বাংলাদেশে পৌঁছে। মেট্রোরেল ও লাইনের নকশা অনুযায়ী, এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
প্রকল্পসমূহ
DMTCL’র আওতায় মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য ১২৯.৯০১ কিমি (উড়াল ৬৮.৭২৯ ও পাতাল ৬১.১৭২ কিমি) এবং স্টেশন ১০৫টি। এ লক্ষ্যে সরকার ২০৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এমআরটি লাইন বৃত্তান্ত
লাইন | দৈর্ঘ্য (কিমি) | স্টেশন | ধরন | সমাপ্তি | |
এমআরটি-১* | – | ৩১.২৪ | ২১টি | উড়াল ও পাতাল | ২০২৬ |
এমআরটি-২ | গাবতলী-চট্টগ্রাম রোড | ২৪ | – | উড়াল ও পাতাল | ২০৩০ |
এমআরটি-৪ | কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ | ১৬ | – | উড়াল | ২০৩০ |
এমআরটি-৫ (উত্তর) | হেমায়েতপুর-ভাটারা | ২০ | ১৪টি | উড়াল ও পাতাল | ২০২৮ |
এমআরটি-৫ (দক্ষিণ) | গাবতলী-দাশেরকান্দি | ১৭.৪০ | ১৫টি | উড়াল ও পাতাল | ২০৩০ |
এমআরটি-৬ | উত্তরা-কমলাপুর | ২১.২৬ | ১৭টি | উড়াল | ২০২৫ |
* এ লাইনের অধীনে দুটি রুট হবে। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রুটটি বিমানবন্দর রুট, যার দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭২ কিমি এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত পূর্বাচল রুট, যার দৈর্ঘ্য ১১.৩৬৯ কিমি ৷
প্রথম মেট্রোরেল
মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পথটি ‘এমআরটি লাইন-৬’ নামে পরিচিত। এটি ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল। ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার সাথে বাংলাদেশ সরকার এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৩,৪৭১.৯৯ কোটি টাকা । উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা Japan International Cooperation Agency (JICA) এ প্রকল্পে সহায়তা দিবে ১৯,৭১৮.৪৭ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিবে ১৩,৭৫৩.৫২ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন : মহান বিজয় দিবস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
২৬ জুন ২০১৬ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। মেট্রোরেলের ৬ কোচ বিশিষ্ট ২৪ সেট ট্রেনে যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা থাকবে ঘণ্টায় ৬০,০০০ ও দৈনিক ৫ লক্ষ। তবে ভবিষ্যতে এটিকে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে। মাঝের ৪টি কোচের প্রতিটিতে যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা হবে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন এবং ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন আর ট্রেন প্রতি সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ২,৩০৮ জন। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত স্টেশনের সংখ্যা ১৭টি। স্টেশনসমূহ : উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর ।
এমআরটি লাইন-৬ সংশোধিত বাস্তবায়ন পরিকল্পনা :
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল ২০১২-২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয় । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশেষ উদ্যোগে নির্ধারিত সময়ের ২ বছর ৬ মাস পূর্বে বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল চালুর সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। এ অংশের মোট দৈর্ঘ্য ১১.৭৩ কিলোমিটার এবং স্টেশন রয়েছে নয়টি । ১০টি ট্রেন দিয়ে এ অংশে শুরু হবে যাত্রী পরিবহন। ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চার মিনিট অন্তর চলাচল করবে ট্রেনগুলো। প্রতিটি স্টেশনে থামবে ৪৫ সেকেন্ডের জন্য। আগারগাঁও পর্যন্ত ভ্রমণ করা যাত্রীদের মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য রাখা হবে ‘শাটল’ বাস । একইভাবে শাটল বাস রাখা হবে উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকেও।
বিদ্যুৎ
মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ আসবে সরাসরি জাতীয় গ্রিড থেকে । এজন্য উত্তরা ও মতিঝিলে দুটি ১৩২ কেভি উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। উত্তরা-আগারগাঁও পর্যন্ত ৮০ মেগাওয়াট আর আগারগাঁও- কমলাপুর পর্যন্ত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগান থাকবে ।
ভাড়া
মেট্রোরেলে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা। আর সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা। তবে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া মওকুফ থাকবে। মেট্রোরেলে মাসিক, সাপ্তাহিক, পারিবারিক এবং কার্ডে ভাড়া দেওয়ার বিশেষ সুবিধা থাকবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রতিবার ভ্রমণে বিশেষ ছাড় পাবেন । ভাড়া স্মার্টকার্ডে পরিশোধ করলে ১০% রেয়াতের ব্যবস্থা থাকবে। রেলে চলাচলের ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক, মাসিক, পারিবারিক কার্ড আগে থেকে কিনতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো স্টেশনে থাকা মেশিনের মাধ্যমেও কার্ড রিচার্জ করা যাবে ।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে Communication Based Train Control (CBTC) System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে Automatic Train Operation (ATO), Automatic Train Protection (ATP), Automatic Train Supervision (ATS) ও Moving Block System (MBS) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য Synchronized Platform Screen Door (PSD) and Train Door 4 Internet Protocol (IP) Camera System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপৎকালীন মেট্রোরেলের ভেতর থেকে বের হওয়ার জন্য জরুরি বহির্গমন দরজা রাখা হয়েছে। মেট্রো স্টেশন, রুট এ্যালাইনমেন্ট ও মেট্রোরেলে অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা হিসেবে স্বয়ংক্রিয় Sprinkler ও Water Hydrant সংযোজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সর্বোপরি, মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র বিশেষায়িত MRT Police Force গঠনের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন আছে।
আরো পড়ুন : জাতীয় পুরস্কার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
সুবিধা
ঢাকা শহরের মতো জনবহুল ও যানজটের শহরে মেট্রোরেল যেন নগরবাসীর জন্য এক আশীর্বাদ। মেট্রোরেলের কারণে ঢাকা শহরবাসী নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো ভোগ করবে—
- বিপুল সংখ্যক লোক খুব সহজে এবং দ্রুত এক স্থান থেকে অন্যত্র ভ্রমণ করতে পারবে।
- সম্পূর্ণ যানজটবিহীন একটি পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবন ঘটবে।
- যাতায়াতের সুবিধার জন্য মূল ঢাকায় বসবাসের ওপর চাপ কমবে।
- এতে শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকায় যাত্রীরা একটি শব্দ দূষণমুক্ত পরিবেশে ভ্রমণ করতে পারবে।
- মেট্রোরেল হাজার হাজার কর্মঘণ্টা সাশ্রয় করবে যে সময় উন্নয়নশীল কাজে ব্যয় করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখা যাবে।
- অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে নিরাপদ ও সর্বনিম্ন দুর্ঘটনার যোগাযোগ মাধ্যমে পরিণত হবে মেট্রোরেল।
- মেট্রোরেল ব্যবহারের কারণে রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমবে, এতে ঢাকা শহর আগের চেয়ে আরও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে
- মেট্রোরেল চালু হলে ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার বহুলাংশে হ্রাস পাবে। এতে বায়ু দূষণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যাবে।
অর্থনৈতিক প্রভাব
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সম্পূর্ণ জিডিপিতে ঢাকার অবদান প্রায় ৩৬%। ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত ঢাকায় নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ১৮,৭৭,৪৭৪টি। ঢাকা মহানগরীর সড়ক ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬.১২ কিমি.। এতে মহানগরীর যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই যানজট ও এর ফলশ্রুত প্রভাবে বার্ষিক প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে মেট্রোরেল চালু হলে যানজট ও এর ফলশ্রুত প্রভাবে যে ক্ষতি হচ্ছে তা সাশ্রয় হবে। এছাড়া মেট্রোরেলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় অনেক নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও নতুন আবাসন গড়ে উঠছে এতে অসংখ্য মানুষের নতুন কর্মস্থল তৈরি হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সরকারের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ জেলাকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ২০৩০ পরবর্তী প্রথম পর্যায়ের পরিকল্পনায় গাজীপুর জেলা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলাকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ পরবর্তী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে ঢাকা জেলার পার্শ্ববর্তী ৫টি জেলাকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা। মেট্রোরেল নগরবাসীকে খুব কম সময়েই গন্তব্যে পৌঁছে দেবে এবং একই সাথে নগরজীবনে ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ করবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি ঢাকার মর্যাদাও বেড়ে যাবে। যোগাযোগের নতুন সূচকে ঢাকা এগিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। মেট্রোরেল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতিকে পৌছে দিবে এক অনন্য উচ্চতায়।