প্রায় সব দেশেই চলছে জ্বালানি সংকট। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়ােজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জীবনযাত্রায় পড়েছে বিরূপ প্রভাব।
সূচনা-প্রসঙ্গ
জ্বালানি বলতে সেই সব পদার্থকে বােঝায় যাদের ভৌত বা রাসায়নিক গঠন অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে শক্তির নিঃসরণ ঘটে। যেসব জ্বালানিতে এই শক্তি-নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং জ্বালানি থেকে প্রাপ্ত শক্তিকে কাজে রূপান্তর করা যায়, তাদেরকে ব্যবহারযােগ্য জ্বালানি বলা হয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে জ্বালানির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে নানা কারণে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে জ্বালানি সংকট। সেইসাথে বেড়েই চলেছে মূল্যস্ফীতি। চলমান এ সংকটের ফলে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন দেশ।
জ্বালানি সংকটের কারণ
বর্তমানে বিশ্বে জ্বালানি সংকটের প্রধান কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাশিয়া ইউক্রেন, আক্রমণ করার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে। রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল-গ্যাস উৎপাদক ও সরবরাহকারী দেশ।
যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয় এর সরবরাহ ব্যবস্থা, যার প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। রাশিয়া ইউরােপের মােট চাহিদার ৪০% এর বেশি গ্যাস সরবরাহ করে। ২০২০ সালে দেশটি দৈনিক ১ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ করে বিশ্ববাজারে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মােকাবিলায় জ্বালানি বিক্রিতে কিছু শর্ত আরােপ করে রাশিয়া। কিন্তু শর্ত পূরণ না করায় বেশ কিছু দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়।
এদিকে এক বছরের মধ্যে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি- দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয় ইউরােপীয় ইউনিয়ন। ইউরােপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় রাশিয়া ইউরােপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়। ফলে দেখা দিয়েছে জ্বালানি সংকট।
জ্বালানি সংকটের প্রভাব
সভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম চাবিকাঠি জ্বালানি। তাই জ্বালানি সংকট অনিবার্যভাবেই সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। বর্তমানে জ্বালানি সংকটের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে রু করেছে সবক্ষেত্রেই। উত্তর আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরােপে জ্বালানির মজুত আশঙ্কাজনকহারে হ্রাস পেয়েছে।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- ক্লাউড সিডিং : কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের প্রযুক্তি
- নানান রূপে প্রাকৃতিক দুর্যোগ
- বাংলাদেশের কৃষিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব
- বৈশ্বিক খাদ্য সংকট
- পরিবেশ সংরক্ষণে কনভেনশন ও প্রটোকল
রাশিয়ার বিকল্প উৎস হিসেবে ইউরােপ ঝুঁকে পড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে এবং ‘স্পট মার্কেট’-এর ওপর। ফলে এশিয়া গ্যাস আমদানিকারক দেশগুলাের প্রাপ্যতা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। জাপান, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতাে এশিয়ার ধনী দেশগুলাের মধ্যেও খােলা বাজার থেকে গ্যাস কেনার ক্ষেত্রে প্রতিযােগিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ফলে প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বালানি সংকটের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, কলকারখানাগুলাের উৎপাদন বন্ধ আছে। ইউরােপ-এশিয়ার অনেক ধনী দেশ জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হয়। আর্জেন্টিনা, পেরু, ইকুয়েডরসহ লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশে জ্বালানি সংকটের ফলে একদিকে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে সেখানকার পাম্পগুলাে পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ করতে পারছে না।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং নেপাল ইতােমধ্যে লােডশেডিং এ বাধ্য হয়। মে ২০২২ ভারতেও একই সমস্যা দেখা দেয়। দক্ষিণ এশিয়ার বাহিরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলােতেও লােডশেডিং হচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বেও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জনমনে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে, ইতােমধ্যে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে দেখা দেয় গণবিক্ষোভ। সর্বোপরি জ্বালানি সংকট বিশ্বকে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ধাবিত করছে।
মূল্যস্ফীতি
মূল্যস্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থা বুঝায় যখন একই পরিমাণ দ্রব্য বা সেবা ক্রয় করতে পূর্বের তুলনায় বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। অর্থাৎ বলা যায়, মূল্যস্ফীতি হলে অর্থের মূল্য কমে যায়। করােনা, মহামারি আর জলবায়ু। পরিবর্তনের প্রভাবে গােটা বিশ্বেই শস্য উৎপাদনে মন্দাভাব আগে থেকেই ছিল। এর মধ্যেই চলমান যুদ্ধের জেরে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম হঠাৎ করে অনেকখানি বেড়ে গেছে।
মে ২০২১ এর তুলনায় মে ২০২২ সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির হার প্রায় ৬৫%, ইউরিয়া সারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৪%, সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধির হার ২৯%, গমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৫% এবং চিনির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩%। FAO’র তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী কৃষি ও খাদ্যপণ্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পায়, যা ২০২২ সালে যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইএমএফ কর্তৃক এপ্রিল ২০২২ এর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, উন্নত অর্থনীতিসমূহে ২০২১ সালে সিপিআই মূল্যস্ফীতি ৩.১% ছিল যা ২০২২ সালে ৫.৭%। হবে মর্মে প্রাক্কলন করেছে। জুন ২০২২ এ মূল্যস্ফীতি যুক্তরাষ্ট্রে ৯.১%, যুক্তরাজ্যে ৯.৪%, জার্মানিতে ৮.৯%, রাশিয়ায় ১৫.৯%, তুরস্কে ৭৮.৬%, নেদারল্যান্ডসে ৯.৪%, শ্রীলংকায় ৩৯.৯% এবং পাকিস্তানে ২১.৩%।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (IEA) প্রধান ফাতিহ বিরল বলেন, ‘গভীরতা ও জটিলতার দিক থেকে এত বড় জ্বালানি সংকট এর আগে দেখেনি বিশ্ব। এটি সারা বিশ্বকেই ভোগাচ্ছে।’
বিভিন্ন দেশে গৃহীত পদক্ষেপ
চলমান জ্বালানি সংকট এখন একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। এ সংকট মােকাবিলায় প্রতিটি দেশই নিজস্ব কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়। এ বছরের শীত মৌসুমে গ্যাসের ব্যবহার ১৫% কমানাের এক পরিকল্পনার কথা ঘােষণা করেছে। ইউরােপীয় ইউনিয়ন। জার্মানি রাতের বেলায় সরকারি ভবন ও স্মৃতিসৌধের মতাে স্থাপনাগুলােতে আলাে না জ্বালানাের ঘােষণা দেয়।
স্পেনের দোকানপাটে রাত ১০টার মধ্যে বাতি নিভিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তানের সরকারি অফিসে কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চীনের মতাে দেশ সৌরশক্তির ওপর গুরুত্বারােপ করে।
তারা তাদের নাগরিকদের উৎসাহিত করছে বাড়ির ছাদে সােলার প্যানেল বসানাের জন্য। কিছু দেশে মহাসড়কে এরই মধ্যে সাময়িকভাবে গতিসীমা অন্তত ১০ কিলােমিটার কমানাে হয়েছে। উদ্দেশ্য, সড়কে যেন যানজট এবং জ্বালানির ব্যবহার কমে আসে। কিছু দেশ যেখানে সম্ভব সেখানে সপ্তাহে তিনদিনের জন্য ওয়ার্কফ্রম হােমের ব্যবস্থা করেছে।
কিছু দেশ ১৯৭৩ সালের তেল সংকটের সময় সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও পশ্চিম জার্মানির মতাে শহরে কার-ফ্রি সানডে নতুন করে প্রবর্তন করেছে। আবার কিছু দেশ নতুন করে গণপরিবহনের উন্নয়নে বিনিয়ােগ বৃদ্ধি করে। মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল চালানােয় উদ্বুদ্ধ করছে।
জ্বালানির ব্যবহার নানাভাবে কমানাের চেষ্টা করছে। ফ্রান্সে যেসব দোকানে এয়ারকন্ডিশনিং চালু থাকে, তাদেরকে দোকানের দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে জ্বালানির অপচয় বন্ধ করার লক্ষ্যে। নিয়ন বাতির ব্যবহারও কমাতে বলা হয়। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে তা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৫০ লাখ টন ডিজেল আমদানি করতে হয়। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এ সংকট আরও বাড়বে।
বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে জুন ২০২২ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ করে সরকার। জ্বালানি সংকট, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি, সরবরাহের চেইনে বিশৃঙ্খলায় বাংলাদেশ কঠিন অবস্থা অতিক্রম করছে। বিদ্যুৎ ঘাটতি শিল্পখাতে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত করছে। যার প্রভাব দেশের অভ্যন্তরে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতেও ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করছে।
জ্বালানি সংকটের কারণে বােরাে ও রবি শস্য আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ মােট বার্ষিক ধান উৎপাদনের ৬০% বােরাে, যা মূলত সেচনির্ভর। দেশে সেচযন্ত্রের সংখ্যা ১৬ লাখ ১০,০০০ এর মধ্যে ১৩ লাখ ৪০,০০০ ডিজেলচালিত। বাকি ২ লাখ ৭০,০০০ চলে বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ ঘাটতি সরাসরি প্রভাব ফেলছে সেচকাজে। কৃষির উৎপাদনে প্রায় ৫০% ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং উৎপাদন কমে যাবে।
জ্বালানির দাম বাড়ানাের ফলে তৈরি পােশাক খাত, সিমেন্ট খাতসহ সব ধরনের শিল্প খাতে উৎপাদন ও পূরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। বিবিএসের তথ্যমতে, গত এক বছরে মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়েছে ৯১%। বহু স্থানে পরিবহন বন্ধ রেখেছে।
মালিকপক্ষ জুন ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৫৬%। বিগত ৯ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। বেসরকারি হিসাব মতে, দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০%। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষের ভােগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগােষ্ঠী অনেক কষ্টে দিনাতিপাত কাছে।
সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
জালানি সংকট মােকাবিলায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার। বৈশ্বিক সংঘাত ও সংকটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছসাধনের পরামর্শ দেন। বিদ্যুৎ বাচাতে অফিসের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। সরকারি সব দপ্তরে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫% কমানাের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জ্বালানিখাতের বাজেট বরাদ্দের ২০% কম ব্যবহারের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ প্রয়ােজনীয় পরিপত্র জারি করেছে। অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তাকর্মচারী যারা গাড়িতে তেল ব্যবহার করেন, এখন তাদের রাদ্দ ২০% কম হবে। অনিবার্য না হলে শারীরিক উপস্থিতিতে সভা পরিহার এবং অধিকাংশ সভা অনলাইনে আয়ােজন করতে হবে। অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশ ভ্রমণ যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।
খাদ্যদ্রব্য নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী পরিবহনে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয় প্রয়ােজনীয় কাজ শুরু করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলাে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস করে সরকার। রাত ৮টায় দোকান, শপিং মল, মার্কেন্ট ও কাঁচাবাজার বন্ধ, আলােকসজ্জায় নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে লােডশেডিংয়ের সময়সূচি করে দেওয়ার মতাে কঠোর নীতিও চালু করা হয়েছে। শিল্প খাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শিল্পাঞ্চলগুলােতে শুক্রবার থেকে এলাকাভিত্তিক ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া স্কুল ও কলেজের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হয়েছে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি শুধু একটি পণ্যের দামের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং এর সঙ্গে পরিবহন, ওষুধশিল্প, নির্মাণ শিল্প, পােশাকশিল্প, সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য সামগ্রীসহ রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের ভােক্তা ও ব্যবহারকারী সম্পর্কিত। অর্থাৎ নিম্ন থেকে শুরু করে উচ্চ স্তর সকল পর্যায়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বর্তমানে দেশে জ্বালানি মজুতের যে ক্ষমতা তা আরও দীর্ঘায়িত করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একটি দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে জ্বালানি উত্তোলন করতে হবে। সর্বোপরি, দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে যেকোনাে অবস্থাতেই স্থানীয় বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস করার কোনাে বিকল্প নেই।