বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ভালো করতে হলে কিছু নিয়মকানুন জেনে নাও।
বাংলা দ্বিতীয় পত্রে রচনামূলকে ৪০ আর বহুনির্বাচনিতে ১৫ মোট ৫৫ নম্বর। প্রথমেই দুটি অনুচ্ছেদ থাকবে, ১টির উত্তর করতে হবে। এর মান ১০। যেহেতু এখানে নম্বর ১০, তাই তুমি এক পৃষ্ঠায় যদি ১৩ বা ১৪ লাইন করে লেখ তাহলে অন্তত ৩ পৃষ্ঠা লিখবে। ৪ পৃষ্ঠা লিখতে পারলে ভালো। মনে রাখবে, অনুচ্ছেদ অবশ্যই এক প্যারায় লিখে শেষ করতে হবে।
পত্র, দরখাস্ত বা পত্রিকায় প্রকাশের জন্য চিঠি প্রসঙ্গে। এ ক্ষেত্রে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী পত্র বা ব্যক্তিগত পত্র লিখে বেশি সময় নষ্ট না করে দরখাস্ত লেখা ভালো, অবশ্য যদি তেমন সুযোগ থাকে। এটা কম সময়ে লিখে কিছু সময় বাঁচানো যেতে পারে, যে সময়টুকু তুমি অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তরে ব্যবহার করতে পারো।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার সময় বিশেষভাবে খেয়াল রাখবে; এখানে কোনো উদ্ধৃতি বা কবিতার লাইন ব্যবহার করবে না। তিনটা প্যারায় লেখা শেষ করবে। প্যারায় কোনো শিরোনাম ব্যবহার করবে না। ভাবের সম্প্রসারণ তো, তাই একটু বিস্তারিত অর্থাৎ সাইজে বড় হলে ভালো হয়। মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কেমন বড়? এক পৃষ্ঠায় যদি ১৩ বা ১৪ লাইন লেখো, তাহলে কমপেক্ষ ২ পৃষ্ঠা লেখা ভালো। এখানে মান ১০।
প্রতিবেদন লেখার সময় বেশ সতর্ক থাকতে হবে। এটা ১০ নম্বরের প্রশ্ন। একটা সংবাদ আরেকটা প্রাতিষ্ঠানিক বা দাপ্তরিক প্রতিবেদন থাকবে, দুটোর যেকোনো একটার উত্তর করতে হবে। যেটা দেখা যায় প্রতিবেদনের বিভিন্ন নিয়ম প্রচলিত থাকায় ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্তিতে থাকে, কীভাবে লিখবে সেটা নিয়ে। এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ, যারা এ বিভ্রান্তির মধ্যে আছো, তারা শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য একটি এবং দাপ্তরিক প্রতিবেদনের জন্য একটি নিয়ম ভালোভাবে শিখে নেবে।
৩০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে পরীক্ষায়, উত্তর দিতে হবে ১৫টি; এ নিয়মটা করোনাকালীন সংক্ষিপ্ত পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য। বহুনির্বাচনি প্রশ্নে অতিরিক্ত প্রশ্ন সাধারণত থাকে না, তোমরা বিশেষভাবে এ সুযোগটা পেয়েছ। সুতরাং বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় পুরো নম্বর অর্থাৎ ১৫ তে ১৫ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলা বিষয়ে বেশি নম্বর পেতে সুন্দর হাতের লেখা যত বেশি সহায়ক হবে।