বিসিএসে ভালো ফলাফলের জন্য ‘বাংলাদেশ বিষয়াবলী’ বিষয়ের প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন সে বিষয়ে ধারণা দিতে আজকের লেখাটি সাজানো হয়েছে। আশা করছি লেখাটি আপনাদের সহায়ক হবে।
বইপত্র সংগ্রহঃ
- ‘উচ্চ মাধ্যমিক পৌরনীতি -২ য়পত্র ‘ থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় , সরকার ব্যবস্থা , রাজনৈতিক অবস্থা (বইটি বেসিক জ্ঞানের জন্য দরকার)।
- বাংলাদেশের সংবিধান (সর্বশেষ সংশোধনীসহ অরিজিনাল ভার্সন)।
- দৈনিক পত্রিকা (আন্তর্জাতিক এডিটোরিয়াল)।
- নবম – দশম শ্রেণির ‘ সমাজ বিজ্ঞান ও ইতিহাস ‘ বই ।
- আজকের বিশ্ব (সাধারণ জ্ঞানের সংকলন)।
- মানচিত্র
- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট ।
- সাম্প্রতিক বাজেটের কপি ।
■ যেভাবে পড়তে হবেঃ
পদ্ধতি -১ঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে প্রিলি ও রিটেন মিলে ২৩০ নম্বর বরাদ্দ । প্রিলিতে নম্বর ৩০ ও রিটেনে ২০০ নম্বর । এই বিষয়টি তাই বিসিএস পরীক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এখন আপনি যদি শুধু প্রিলিমিনারীতে উত্তীর্ণ হয়ে রিটেনে ফেল করতে চান , তাহলে শুধু ‘ জব সল্যুশনস ‘ প্র্যাকটিস করবেন । সাথে একটি ডায়েরিতে বিষয় ও চ্যাপ্টার ভিত্তিক নোট রাখবেন ।
পরীক্ষার একমাস আগে শুধু ঐ ডায়েরির তথ্যগুলো পড়লে ও মডেল টেস্ট দিলেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা উতরে যাবেন । কিন্তু প্রস্তুতির এই প্রক্রিয়াটি একটি ভুল প্রক্রিয়া । কারণ , প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দুই – তিন মাসের মধ্যেই রিটেন পরীক্ষা শুরু হয় । স্বল্প সময়ে রিটেন পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতি নিতে হলে তাই প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নেয়ার সময় থেকেই রিটেন পরীক্ষাকে টার্গেট করে নির্ধারিত চ্যাপ্টারগুলো বিস্তারিত পড়তে হবে।
পদ্ধতি -২ঃ ( টেকসই ও কার্যকর পদ্ধতি ): রিটেন ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস দুটো পাশাপাশি রাখুন । রিটেন সিলেবাসের যে চ্যাপ্টারগুলো প্রিলিমিনারি সিলেবাসে আছে সেগুলো মার্ক করুন । এবার এই চ্যাপ্টারগুলোর উপর রেফারেন্স বই থেকে বিস্তারিত পড়া শুরু করুন রেফারেন্স বই পড়ার ধৈর্য না থাকলে বিসিএস রিটেন গাইড বই থেকে টপিকভিত্তিক প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলুন । প্রতিটি টপিকের ঘটনার তারিখ , স্থান ও সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের নাম হাইলাইটার পেন দিয়ে মার্ক করে ফেলুন ।
চ্যাপ্টার ও টপিক অনুযায়ী এই সংক্ষিপ্ত তথ্যগুলো আপনার ডায়েরিতে লিখে ফেলুন । এবার ডায়েরীটি বারবার পড়ুন ও জব সল্যুশনন্স থেকে মডেল টেস্ট সলভ করুন । বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বারবার রিভিশন দিন । দীর্ঘস্থায়ী ভাবে কাজে লাগবে আশা করছি । বিসিএস এর জন্য একটি হাইভোল্টেজ প্রস্তুতি গ্রহণে এই প্রক্রিয়াটি অনবদ্য । বাংলাদেশের সংবিধান পাঠঃ বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা প্রিলিমিনারি , রিটেন ও ভাইভা এই সবগুলো পরীক্ষার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ।
তাই ‘ বিজি প্রেস ’ থেকে প্রকাশিত সংবিধানের মূল বইটি সংগ্রহ করুন । সংবিধানের উপর গুগল প্লে – স্টোর থেকে ‘ বাংলাদেশ সংবিধানের ‘ এপ্লিকেশনটি নামিয়ে নিন । এপসে দেওয়া তথ্যগুলো বা গাইডে দেওয়া তথ্যগুলোর নিখুঁততা মূল বইটি থেকে যাচাই করে নিন ।
বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনা , বৈশিষ্ট্য , মৌলিক অধিকার সমূহ , রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সমূহ ও সংশোধনী সমূহ সম্পর্কে নিখুঁত জ্ঞান থাকা জরুরি । বারবার পড়ার বিকল্প নেই। চার্ট তৈরি করে পড়ার টেবিলে লাগিয়ে রাখুন । আপনার স্মার্ট ফোন থাকলে উপরে বর্ণিত এপসটি থেকে ঘুরাঘুরিতে , আড্ডায়, ট্রান্সপোর্টে তথ্যগুলো বারবার রিভিশন দিন।