বিসিএস পরীক্ষার জন্য গণিত বিষয়ে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে।

Preparation BD
By -
0

বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করতে গণিত বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।কিভাবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে গণিত বিষয়ে প্রস্তুতি ভালো করবেন সে সম্পর্কিত কিছু কথা নিয়ে আজকের লেখাটি।আশা করি লেখাটি আপনাদের সহায়ক হবে।

গণিত প্রস্তুতির জন্য বইপত্র সংগ্রহঃ

ক) ৮ ম ও ৯ ম শ্রেণীর টেক্সট বই । আদিল প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত উক্ত টেক্সট বইগুলোর সমাধান গাইড ।

খ) জব সল্যুশনস।

গ ) স্পীড – ম্যাথের জন্য ‘ শাহীনস্ ম্যাথ ‘ গাণিতিক যুক্তি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে প্রার্থীদেরকে ২ টি মারাত্মক ভুল স্ট্রাটেজি অনুসরণ করতে দেখি-

১। শুধু অবজেকটিভ টাইপ প্রশ্নের সমাধান করা ।

২। স্পীড মেথ ( Speed Math ) – এ সময় কম দেওয়া । যে কোন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পরিশ্রমের সাথে কৌশলটাও সলিড হওয়া জরুরি। বস্তুত আপনি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবেন তখনি যখন পরিশ্রমটা একটা সলিড স্ট্রাটেজি অনুসারে করবেন ।

বলছিলাম স্ট্র্যাটিজির ২ টি ভুলের কথা ।প্রথম ভুলটি শুধরানোর উপায় হচ্ছে – গণিতের প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নেওয়ার আগে রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলতে হবে । গণিত বিষয়ে রিটেনে যেসব সমস্যা দেওয়া থাকে এদের প্রত্যেকটি সমস্যা আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যায় বিভক্ত । অর্থাৎ সমস্যার কয়েকটি ক্ষুদ্র ইউনিট একত্রিত করেই রিটেন পরীক্ষার প্রতিটি অংক তৈরি করা হয় । আর প্রতিটি সমস্যার অন্তর্ভূক্ত ঐ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যাগুলো দিয়েই প্রিলিমিনারির প্রশ্ন তৈরি করা হয় । তাই গণিতে প্রিলির প্রস্তুতি নেওয়ার আগে রিটেনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

Speed Math ( স্পীড ম্যাথ ) : রিটেনের জন্য অংক করার সময় সমস্যাটির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউনিটগুলো সংক্ষেপে দ্রুত সমাধান করার জন্য আপনার নিজের মতো করে তৈরি করা কোন সমীকরণ বা , ফরমেট তৈরী থাকতে হবে । প্রিলিমিনারির জন্য প্রতিটি ক্ষুদ্র সমস্যার ধরন দিয়ে সুনির্দিষ্ট ১ টি করে স্পীড মেথ ইকুয়েশন বা ফরমেট তৈরি।

যেভাবে গণিত চর্চা করবেনঃ

প্রথমত গণিতে দুর্বল পরীক্ষার্থীর জন্য পরমার্শঃ

বিসিএস পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার জন্য গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড গুরুত্বপূর্ণ নয় । চাকরিতে অন্তত ৬০ ভাগ কর্মকর্তারই একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডে বিজ্ঞান ও গণিত বিষয় ছিল না । তবুও তারা ভালো ক্যাডারে চাকুরি পেয়েছেন । তাই আপনি যে গণিত / বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ডের নন , এ ব্যাপারটি স্রেফ ভুলে যেতে হবে । আপনার যা যা করতে হবেঃ

• প্রথমেই রিটেন ম্যাথ পরীক্ষার সিলেবাসটি দেখুন ।

• চিহ্নিত করুন , কোন টপিকটিতে আপনি বেশি দুর্বল । এবার ঐ চ্যাপ্টারগুলোর গভীরতা বা সিলেবাসের মাত্রা নির্ধারণ করুন।

• পরীক্ষায় প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় কোন টপিকে ঠিক কত নম্বর বরাদ্দ তা হিসেব করে ঐ টপিকগুলোর গুরুত্ব গ্রেডিং করে চিহ্নিত করুন।

• প্রয়োজনে গণিতে ভালো দক্ষতা আছে এমন কারো কাছে গিয়ে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টারগুলো চর্চা করুন।

• বিগত পরীক্ষাগুলোর প্রিলিমিনারি ও রিটেন পরীক্ষার সমস্যাগুলো সমাধান করুন ।

• ইভনিং এমবিএ ( EMBA ) পরীক্ষার গণিতের সমস্যাগুলো চর্চা করে ফেলুন ।

• মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করুন । নিজের প্রস্তুতি যাচাই করে নিন ।

• স্পীড ম্যাথের জন্য ‘ শাহীন’স ম্যাথ ‘ বইটি থেকে চর্চা করতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !