পরস্পরের ভূমি ব্যবহার করে বাণিজ্য জোরদারের লক্ষ্যে ২২ মার্চ ২০২৩ বাংলাদেশ ও ভুটান ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে Agreement on the Movement of Traffic-in-Transit and Protocol between Bangladesh and Bhutan শিরোনামে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর ফলে বাংলাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে ভুটান নির্ধারিত ফি দিয়ে তৃতীয় দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করতে পারবে । আর ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ হলে তখন এ ট্রানজিট সুবিধায় ভুটানের ভেতর দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে নিয়ে চার দেশীয় মোটরযান চলাচল চুক্তি (BBIN) থেকে ভুটান সরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের কাছে দ্বিপক্ষীয় ট্রানজিট চুক্তির প্রস্তাব দেয়। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ঢাকায় দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ট্রানজিট চুক্তির খসড়া ও প্রটোকল চূড়ান্ত করা হয়।
আরো পড়ুন
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১০০টি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান
- ২০২২ সালের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আলোচিত ঘটনা
- খেলাধুলা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর
- সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২৩ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
এরপর ১৩ মার্চ ২০২৩ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভুটানের সঙ্গে এ ট্রানজিট চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি রয়েছে, ভারত যার আওতায় বাংলাদেশের কয়েকটি বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করতে পারছে।
উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর ২০২০ বাংলাদেশ প্রথম এবং একমাত্র অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (PTA) স্বাক্ষর করে ভুটানের সঙ্গে। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।