ইংরেজি Intellectual property-এর বাংলা প্রতিশব্দ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বা মেধা সম্পদ। এটি বর্তমান বিশ্বের একটি- আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও যুগান্তকারী ধারণা। পূর্বে বিশ্বের মানুষের কাছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ধারণাই ছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব পরিক্রমায় Intellectual Property একটি স্বতন্ত্র প্রকৃতির সম্পত্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলতে এক বিশেষ শ্রেণির সম্পদকে বোঝায় যা মূলত, মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক সৃষ্টি। ব্যবসায়, শিল্পে বা বাণিজ্যে প্রয়োগ উপযোগী আবিষ্কার, সাহিত্য ও শিল্পকর্ম, নকশা, প্রতীক, নাম ইত্যাদি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
আরো পড়ুন : ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর
শিল্প বা ব্যবসায় উদ্যোক্তার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলতে ঐসব সম্পদকে বোঝায় যা সে দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া ব্যবসায়িক গোপনীয় বিষয়, বিজ্ঞাপনের অধিকার, নৈতিক অধিকার, অন্যায্য প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে অধিকার ইত্যাদিও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের আলোচনায় পড়ে।
সকল উদ্ভাবন ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। এ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মানুষ জয় করেছে সৃষ্টির অনেক অজানা রহস্য। সম্ভব করে তুলেছে অনেক অসম্ভবকে । এসব সম্পদের মধ্যে পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক ও কপিরাইট অন্যতম। ১৯ শতকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ধারণাটি প্রচলন হয়।
আরো পড়ুন : ২০২২ সালের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আলোচিত ঘটনা
২০ শতকের শেষে এসে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এটি আইনগতভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। কোনো একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি এবং অগ্রগতিতে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের *প্রচার ও সুরক্ষার জন্য ১৯৭০ সালে World Intellectual Property Organization (WIPO) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭৪ জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয় ।