পটভূমি
১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা গঠিত হয়। একই বছর কক্সবাজার, চকরিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফ থানার সমন্বয়ে কক্সবাজার মহকুমা গঠিত হয়। পরবর্তীতে টেকনাফ থেকে উখিয়াকে, মহেশখালী থেকে কুতুবদিয়াকে এবং কক্সবাজার থেকে রামুকে পৃথক করে এ মহকুমার অধীনে তিনটি নতুন থানা গঠিত হয় । ১৯৫৯ সালে কক্সবাজারকে টাউন কমিটিতে রূপান্তর করা হয়। ১৯৭২ সালে টাউন কমিটি বিলুপ্ত করে পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়। ১ মার্চ ১৯৮৪ কক্সবাজার মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
নামকরণ
কক্সবাজারের প্রাচীন নাম পালংকী। একসময় এটি প্যানোয়া নামে পরিচিত ছিল। ‘প্যানোয়া’ অর্থ হলুদ ফুল। ১৭৮৪ সালে বার্মার রাজা বোধাপায়া আরাকান- দখল করে । রাজার আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেক আরাকানি পালংকীতে আশ্রয় নেন।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়
সমুদ্র ও জঙ্গলঘেরা পালংকীতে আশ্রিত লোকজনকে পুনর্বাসনের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সকে নিয়োগ দেয়। ১৭৯৯ সালে তিনি পালংকী এলাকায় একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় থেকেই বাজারটি ‘কক্স সাহেবের বাজার’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
প্রশাসনিক কাঠামো
- উপজেলা : ৯টি কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া ও ঈদগাঁও
- দ্বীপ উপজেলা : কুতুবদিয়া ও মহেশখালী
- পৌরসভা : ৪টি— কক্সবাজার, চকরিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফ
- থানা : ৯টি
- ইউনিয়ন : ৭১টি
- জাতীয় সংসদের আসন : ৪টি
সাধারণ তথ্য
- প্রতিষ্ঠা : ১ মার্চ ১৯৮৪
- সীমানা : উত্তরে চট্টগ্রাম; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে বান্দরবান, মিয়ানমারের আরাকান ও নাফ নদী; পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
- আয়তন : ২,৪৯১.৮৫ বর্গ কিমি. [সূত্র : BBS ]
- জনসংখ্যা : ২৮,২৩, ২৬৫ জন
- সাক্ষরতা (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) : ৭১.৪৫%
- ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) : ১,১৩৩ জন
- প্রধান নদনদী > হারবাং ছড়া, সোনাইছড়ি, বাঁকখালী, ভারুয়াখালী, মেদ, ঈদগাঁও, কোহেলিয়া, কুতুবদিয়া চ্যানেল, মহেশখালী নদী বা মহেশখালী চ্যানেল, বাংলা চ্যানেল।
- আন্তঃসীমান্ত বা অভিন্ন নদী > নাফ ও মাতামুহুরী।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের
- জেলা : কক্সবাজার
- উপজেলা : টেকনাফ
- ইউনিয়ন : সেন্টমার্টিন
- স্থান : ছেঁড়া দ্বীপ
জানেন কি : কক্সবাজার জেলা
- আয়তনে : ২৫তম
- চট্টগ্রাম বিভাগের সপ্তম
- জনসংখ্যায় : ১৯তম
- চট্টগ্রাম বিভাগের পঞ্চম
- সাক্ষরতার হারে : ৪০তম
- চট্টগ্রাম বিভাগের নবম
মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার
- সেক্টর : ১ নং
হানাদার মুক্ত দিবস—
- ৭ ডিসেম্বর : রামু
- ৯ ডিসেম্বর : উখিয়া
- ১১ ডিসেম্বর : চকরিয়া
- ১২ ডিসেম্বর : সদর ও টেকনাফ
- ১৩ ডিসেম্বর : পেকুয়া ও মহেশখালী
- ১৫ ডিসেম্বর : কুতুবদিয়া
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী (জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান)
- নুরুল হুদা (বীরপ্রতীক) মমিনুল হক (ক্রিকেটার)
- মুহম্মদ নূরুল হুদা (জাতিসত্তার কবি)
- সলিমুল্লাহ খান (গণবুদ্ধিজীবী ও লেখক )
কক্সবাজার জেলার উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান
সদর
- বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত (দৈর্ঘ্য ১২০ কিমি)
- কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্ৰ
- দেশের প্রথম ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেলস্টেশন
- দেশের প্রথম সমুদ্রবক্ষের ওপর নির্মিত রানওয়ে
- দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, ঝিলংজা
রামু
- রাখাইন কালচারাল ইনস্টিটিউট
- বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (BORI)
চকরিয়া
- দেশের প্রথম সাফারি পার্ক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
- মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান
- ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
হিমছড়ি
- হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান
- শীতল পানির ঝরনা
উখিয়া
- শেখ জামাল ইনানী জাতীয় উদ্যান,
- ইনানী সমুদ্র সৈকত কুতুবদিয়া
- কুতুবদিয়া বাতিঘর কুতুবদিয়া গ্যাসক্ষেত্র
টেকনাফ
- শাহপরীর দ্বীপ
- একমাত্র সামুদ্রিক প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন
- ছেঁড়া দ্বীপ
- বাংলা চ্যানেল (দৈর্ঘ্য ১৬.১ কিমি)
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক
মহেশখালী
- দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- দেশের প্রথম LNG টার্মিনাল
- মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর
পেকুয়া
- বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি “বানৌজা শেখ হাসিনা’