বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। চলতি বছর ২৪ এপ্রিল তিনি শপথ গ্রহণ করবেন।
নাম | মো. সাহাবুদ্দিন |
জন্ম | ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৯ |
জন্মস্থান | শিবরামপুর, সদর, পাবনা |
পিতা | শরফুদ্দিন আনছারী |
মাতা | খায়রুন্নেসা |
শিক্ষা জীবন
তিনি ১৯৬৬ সালে পাবনা রাধানগর মজুমদার একাডেমী থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৮ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৭১ সালে (১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত) বি.এস.সি. এবং ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এল.এল.বি. ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন ও মুক্তিযুদ্ধ
কলেজ জীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এডওয়ার্ড কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং অবিভক্ত পাবনা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের পদে দায়িত্ব পালন করেন। ৯ এপ্রিল ১৯৭১ তিনি ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেন। ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান । ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর পর তিনি কারাবরণ করেন । তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
আরো পড়ুন :
- সাধারণের জন্য খুলছে বঙ্গভবন
- নরসিংদীর ইমরান নাসার গবেষক
- প্রয়াত সারাহ ইসলামের কিডনি প্রতিস্থাপন
- জাতীয় গ্রিডে বাঁশখালীর বিদ্যুৎ
- একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশন
- হাওরে উড়ালসড়ক
- নতুন জাত সুবর্ণ মুরগি
- জাতিসংঘের ৩ সংস্থার সহ-সভাপতি
- সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আমাদের জানা প্রয়োজন
কর্মজীবন
১৯৮০-৮২ দৈনিক ‘বাংলার বাণী’তে সাংবাদিকতা করেন । ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারে তিনি মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগ দেন। জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসরে যান। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার কারণ ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১-২০১৬ পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
বিশেষ তথ্য
- বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান
- দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ
- জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ৩ জন।- জিয়াউর রহমান, বিচারপতি আব্দুস সাত্তার ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
- রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন।- শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও মো. জিল্লুর রহমান।
রাষ্ট্রপতিদের তালিকা ১০ এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৭ জন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন ।
নাম | মেয়াদকাল |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (অনুপস্থিত ১০.০১.৭২ পর্যন্ত) | ১০.০৪.৭১-১২.০১.৭২ |
সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী) | ১৭.০৪.৭১-১০.০১.৭২ |
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী | ১২.০১.৭২-২৪.১২.৭৩ |
মোহাম্মদ উল্লাহ (অস্থায়ী ২৭.০১.৭৪ পর্যন্ত) | ২৪.১২.৭৩-২৫.০১.৭৫ |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান | ২৫.০১.৭৫-১৫.০৮.৭৫ |
খন্দকার মোশতাক আহমদ | ১৫.০৮.৭৫-০৬.১১.৭৫ |
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম | ০৬.১১.৭৫-২১.০৪.৭৭ |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান | ২১.০৪.৭৭-৩০.০৫.৮১ |
বিচারপতি আব্দুস সাত্তার (অস্থায়ী ২০.১১.৮১ পর্যন্ত) | ৩০.০৫.৮১-২৪.০৩.৮২ |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ | ২৪.০৩.৮২-২৭.০৩.৮২ |
বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী | ২৭.০৩.৮২-১১.১২.৮৩ |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ | ১১.১২.৮৩-০৬.১২.৯০ |
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ (অস্থায়ী) | ০৬.১২.৯০-০৯.১০.৯১ |
আবদুর রহমান বিশ্বাস | ০৯.১০.৯১-০৯.১০.৯৬ |
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ | ০৯.১০.৯৬-১৪.১১.০১ |
অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী | ১৪.১১.০১-২১.০৬.০২ |
ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার (অস্থায়ী) | ২১.০৬.০২-০৬.০৯.০২ |
অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ | ০৬.০৯.০২-১২.০২.০৯ |
মো. জিল্লুর রহমান | ১২.০২.০৯-২০.০৩.১৩ |
মো. আবদুল হামিদ (অস্থায়ী ২৪.০৪.২০১৩ পর্যন্ত) | ২০.০৩.১৩-বর্তমান |
[সূত্র : বঙ্গভবনের শতবর্ষ, পৃষ্ঠা ৩৫২]
রাষ্ট্রপতির সুবিধাদি
The President’s (Remuneration and Privileges) Act, ১৯৭৫ অনুযায়ী বর্তমানে রাষ্ট্রপতির মূল বেতন ১,২০,০০০ টাকা। এ টাকা আয়করমুক্ত। রাষ্ট্রপতির জন্য সরকারি বাসভবন (বঙ্গভবন) থাকবে, যার সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে সরকার।
আরও যা কিছু পান
- আপ্যায়নের জন্য ভাতা।
- পরিবহন (গাড়ি) সুবিধা।
- রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন তহবিল বছরে দুই কোটি টাকা।
- রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসার সুবিধা।
- চিকিৎসকদের পরামর্শে দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে খরচ।
- বিমানে ভ্রমণ করলে বীমা সুবিধা। এ বীমাসুবিধা বছরে ২৭ লাখ টাকা।