কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ও বিপণনে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার জন্য কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের দেশের জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। অপরদিকে কৃষিতে শ্রমিকের প্রাপ্যতা ক্রমহ্রাসমান। এ অবস্থায় কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বর্তমান শ্রমিক সংকট নিরসনের জন্য যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
কৃষির যান্ত্রিকীকরণ
অধিকতর দক্ষতা এবং শ্রম ও সময় সাশ্রয়ী উপায়ে কৃষি উৎপাদন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজে মানুষ ও প্রাণীশক্তির ব্যবহার হ্রাস করে অধিক পরিমাণে যন্ত্রশক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তি ও কলাকৌশল প্রয়োগের বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাকে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বলা হয়।
যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত উপকরণ, সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হয়, সেই সাথে ফসল আবাদের দক্ষতা, নিবিড়তা, উৎপাদনশীলতা ও শস্যের গুণগতমান বৃদ্ধি পায় এবং কৃষিকাজ লাভজনক ও কর্মসংস্থানমুখী হয়। এছাড়াও প্রতিকূল পরিবেশে যন্ত্রের ব্যবহার উৎপাদন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
প্রয়োজনীয়তা
আমাদের দেশে প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ এবং মাটির অবক্ষয় ও উর্বরতা হ্রাস এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে মাটির গুণাগুণ হ্রাস পাচ্ছে। অধিকন্তু পানিসম্পদও সংকুচিত হচ্ছে। বিশেষত শুষ্ক মৌসুমে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে এবং পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কু-প্রভাব তো রয়েছেই।
আরো পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য
ক্রমহ্রাসমান জমিতে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য অধিক খাদ্য উৎপাদন এবং কৃষিজাত শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহের প্রয়োজনে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। তাই পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা, খরা, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল এলাকায় ফসলের চাষ, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৃষির যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য।
বৈশ্বিক চিত্র
বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রে এখন আধুনিক কৃষি ও খামার ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতিতে এখন সংযোজিত হচ্ছে মনিটরিং ও পর্যবেক্ষণের বিভিন্ন ধরনের সেন্সর প্রযুক্তি। পাশাপাশি মাটিস্থ পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ জানা, জমিতে প্রয়োজনীয় পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পোকামাকড় ও বালাই ব্যবস্থাপনা, সার এবং কীটনাশকের প্রয়োজনীয় ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে জিপিএস ও জিআইএস ট্র্যাকিং পদ্ধতির বদৌলতে।
কৃষক এখন ঘরে বসেই জানতে পারছে কখন মাঠের কোন অংশে সেচ দরকার, কোন উদ্ভিদে পোকার আক্রমণ ঘটেছে, কোন ফলটি উত্তোলন উপযোগী ইত্যাদিসহ নানা তথ্য। মোবাইল ফোনে অ্যাপের ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকের কাজ হয়েছে আরও সহজ।
যন্ত্রে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে দিলে যন্ত্র নিজেই ভূমি কর্ষণ করে দিচ্ছে পর্যাপ্ত গভীরতায়, গাছ লাগানো হচ্ছে নির্দিষ্ট দূরত্বে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে যন্ত্র গাছ থেকে ছিঁড়ে আনছে ফল, রেখে দিচ্ছে সঠিক জায়গায়, আক্রান্ত ফসল তুলে ফেলে দিচ্ছে বাইরে।
এছাড়া উন্নত বিশ্বে কৃষিতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে । কীটনাশক ছিটানো থেকে শুরু করে খামার বা জমির ম্যাপিং, অবস্থা, গোটা দেশের ফসলের অবস্থা নিরূপণ ও খামার পরিচালনা পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোনের ব্যবহার অভাবনীয়ভাবে বাড়ছে ।
বাংলাদেশে সূচনা
বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সূচনা হয় কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে যন্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে। ১৯৫০ দশকের প্রথম দিকে যান্ত্রিক চাষাবাদ শুরু হয় এবং সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে ট্রাক্টর, শক্তিচালিত পাম্প এবং স্প্রেয়ার বিতরণের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে কৃষিযন্ত্রের প্রচলন করা হয় । ১৯৭০ সালে উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গবাদি প্রাণীর ব্যাপক প্রাণহানির প্রেক্ষিতে উপদ্রুত এলাকায় চাষাবাদের জন্য সীমিত সংখ্যক ট্রাক্টর এবং পাওয়ার টিলার বিতরণ করা হয়।
আরো পড়ুন : গোয়েন্দা নজরদারিতে গুপ্তচর বেলুন
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে দ্রুততম সময়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো নামমাত্র মূল্যে ভর্তুকি দিয়ে ৪০,০০০ শক্তিচালিত লো-লিফট পাম্প, ২,৯০০ গভীর নলকূপ এবং ৩,০০০ অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আধুনিক কৃষিযন্ত্র সম্প্রসারণে এটি ছিল ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ।
কৃষির যান্ত্রিকীকরণের সুফল
আধুনিক কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করে চাষাবাদের মাধ্যমে দ্বিগুণের বেশি লাভ করা সম্ভব। ফসল ফলানোর জন্য জমি চাষ, বীজ বপন, নিড়ানি, সার দেওয়া, ফসল কাটা, মাড়াই, ফসল ঝাড়া ও প্যাকেজিং পর্যন্ত সব কিছুই আধুনিক কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে করা সম্ভব । ফলে বেশি শ্রমিকের দরকার হয়না, শ্রম ও সময় সাশ্রয় হয়।
এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে ফসলের অপচয়ও কমে। কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে একটা ফসল থেকে আরেকটা ফসল লাগানোর মধ্যবর্তী সময় কমে যাওয়ায় কৃষকেরা বছরে ২টা ফসলের স্থানে ৩টা ফসল অনায়াসেই করতে পারে ।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, কৃষিতে যন্ত্রায়ন ও কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় শতকরা ১৫ ভাগ, শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায় শতকরা প্রায় ২০ ভাগ, সার ও বীজের সাশ্রয় ঘটায় শতকরা প্রায় ২০ ভাগ এবং সময় ও শ্রম বাঁচায় শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ ।
কৃষির বর্তমান চিত্র
আমাদের দেশে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়ার গতি বেশ মন্থর। বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ জমি এখন পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর দ্বারা চাষ করা হয় । আগাছা নিধন, কীটনাশক প্রয়োগ ও মাড়াই কার্যক্রম যথাক্রমে শতকরা ৬৫, ৮০ ও ৭০ ভাগ বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
তবে ধান উৎপাদনে চারা রোপণ ও ধান কাটায় কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার এখনো উল্লেখযোগ্য হারে হয়নি। আমাদের দেশে ধান, সবজি, গম, সরিষাসহ উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলের মাত্র ২ শতাংশ কাটার ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সার প্রয়োগে যন্ত্রের ব্যবহার ৩ শতাংশ, ফসলের বীজ বপন ও চারা রোপণের জন্য মাত্র ২ শতাংশ জমিতে যন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে।
আরো পড়ুন : ক্যাশলেস বাংলাদেশ
এছাড়া গবেষণায় জানা যায়, ফসল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণে কর্তনপূর্ব, কর্তনকালীন ও কর্তনোত্তর সময়ে ফসলের ক্ষতি হয়। দেশে দানাশস্যে ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতির পরিমাণ মোট উৎপাদনের ১২-১৫ শতাংশ, যা ফল ও শাকসবজির ক্ষেত্রে প্রায় ২৫-৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৭ শতাংশ গম, ১২.০৫ শতাংশ তেলবীজ, ১২.০৫ শতাংশ ডাল শস্য এবং ১০.০৫ শতাংশ মরিচ ফসলে কর্তনোত্তর ক্ষতি হয় কেবল আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করার ফলে। এক গবেষণায় জানা যায়, দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকার খাদ্যশস্য নষ্ট হয় শুধু পরিকল্পিতভাবে ফসল কর্তন, ফসল কর্তনোত্তর ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে।
কৃষির যান্ত্রিকীকরণে চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে বেশিরভাগ জমি খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত । ফলে খণ্ডিত জমিতে চাষ, বপন, রোপণ, কর্তন ইত্যাদি কাজে যন্ত্রের ব্যবহার বেশ কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। এমনকি ছোট ও মাঝারি আকারের কৃষিযন্ত্রের পূর্ণক্ষমতার ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এছাড়া প্রশিক্ষিত কৃষি শ্রমিকের অভাব; বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়োত্তর সেবা নিম্নমানের হওয়া; ডিজাইন, উৎপাদন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ- জনশক্তির অভাব; ফসল উৎপাদনে যান্ত্রিকীকরণে যে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়েছে, উৎপাদন পরবর্তী প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে থাকায় বিপুল পরিমাণ ফসল ক্ষতির সম্মুখীন হয় ।
আরো পড়ুন : আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তায় সর্বজনীন পেনশন
প্রস্তুতকারক পর্যায়ে অত্যাধুনিক মানের যন্ত্রপাতি না থাকা এবং মানসম্পন্ন উপকরণের অভাব; সময়মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ না পাওয়া; দক্ষ মেকানিক, অপারেটর ও ওয়ার্কশপ না থাকা; প্রান্তিক কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবেও অসচ্ছল, তাদের উচ্চমূল্যে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সামর্থ্য নেই। তাছাড়া যন্ত্রসমূহ মৌসুম ভিত্তিক হওয়ায় বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় অব্যবহৃত থাকে এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেড়ে যায়।
সরকারি উদ্যোগ
সরকার ২০১০ সাল থেকে সারাদেশে কৃষির যান্ত্রিকীকরণে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মোট ৬৯,৮৬৮টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার, সিডার, পাওয়ার টিলারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অন্যতম গুরুত্ব দিয়ে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ নামে ৩,০২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫২,০০০ কৃষি যন্ত্রপাতি অঞ্চলভেদে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে । ভর্তুকির পরও কৃষিযন্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। বর্তমানে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ।
খুচরা কৃষি যন্ত্রাংশ আমদানিতে সরকার ন্যূনতম শুল্কহার নির্ধারণ করে। যন্ত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে স্থানীয়ভাবে মেশিনারিজ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়। কৃষকদের মাঝে আধুনিক যন্ত্রপাতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে। এছাড়া ধান রোপণ ও কাটার যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বেসরকারি উদ্যোগ
কৃষির যান্ত্রিকীকরণে সরকারি উদ্যোগের তুলনায় বেসরকারি উদ্যোগ নগণ্য। বর্তমানে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে কিছু কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প চালু আছে। USAID-এর অর্থায়নে International Wheat and Maize Improvement Center (CIMMYT), বাংলাদেশ এর মাধ্যমে Mechanization ‘Extension Activities শীর্ষক শিরোনামে ২০২০-২০২৫ সাল মেয়াদে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির অর্থায়ন প্রায় ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
কৃষি যন্ত্রপাতির চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ফলে বেসরকারিভাবে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা। বেশ কিছু কোম্পানি বিদেশ থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি করে থাকে। এছাড়া কিছু বেসরকারি সংগঠন চাষাবাদের কাজে বড় ধরনের যন্ত্রপাতি ভাড়া দিয়ে থাকে । বর্তমানে ৭০টি ফাউন্ডারি শপ, ১,৫০০টি ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরি কারখানা এবং ২০,০০০টি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা এই সেক্টরের সাথে জড়িত।
কৃষির যান্ত্রিকীকরণ দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। এতে সময় কম লাগবে, ক্রপিং প্যাটার্নে একটি নতুন শস্য অনায়াসেই অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে। সুতরাং সময় বাঁচবে অনেকগুণে। কৃষিকে ব্যবসায়িকভাবে অধিকতর লাভজনক ও বাণিজ্যিকভাবে টেকসই করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে কৃষির যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই।