মাঝসমুদ্রে কনটেইনার নিয়ে ছুটে চলেছে জাহাজ। বিশালাকার একটি উড়ন্ত প্যারাসুট জাহাজের সামনে সামনে ছুটছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, এ যেন পালতোলা নৌকা। প্রকৃতপক্ষে এ ধারণাকেই কাজে লাগানো হয়েছে পণ্যবাহী জাহাজের ক্ষেত্রে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সম্প্রতি ফরাসি একটি প্রতিষ্ঠানের এ প্রযুক্তি সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়।
জ্বালানি সমাধান নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান এয়ারসিস এর নাম দিয়েছে সিউইং। ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটিতে ২,৭০০ বর্গফুটের সিউইং ব্যবহার করা হয়। জাহাজের ডেক থেকে ৬৬০ ফুট উঁচুতে এটি উড়েছে। এয়ারসিসের সিউইং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। একটি বোতামের চাপেই এটি কমান্ড কনসোল থেকে বেরিয়ে বাতাসে উড়তে শুরু করে।
এরপরেই এটি জাহাজের দোলা, উচ্চতা ও বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সিউইংটি বায়ুশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্রমশ অবস্থান পরিবর্তন করে।
আরো পড়ুন
- হন্ডুরাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক
- তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
- প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি
- জাতিসংঘ পানি সম্মেলন ২০২৩
- আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) : কী কেন কীভাবে কাজ করে
- পুতিনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি
- সৌদি-ইরান : বৈরিতা থেকে সম্প্রীতি
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
- সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী প্রশ্নোত্তর
- গোয়েন্দা নজরদারিতে গুপ্তচর বেলুন
যখন পালটি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না কিংবা বাতাস স্থির হয়ে যায়, তখন সেটি কমান্ড কনসোলে নেমে আসে। বর্তমানে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে বিশ্বজুড়ে জোর প্রচেষ্টা চলছে।
সরকার থেকে প্রতিষ্ঠান সব পক্ষই বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোষণা দিচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখা এ নিঃসরণজনিত সমস্যা কমাতেই প্রাচীন পালতোলা নৌকার ধারণা ব্যবহার করা হয়েছে।
সিউইং প্রযুক্তি জাহাজের জ্বালানি ব্যবহার ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ গড়ে ২০% কমিয়ে দেবে। পূর্বে বায়ুশক্তি ব্যবহার করে নদী বা সাগর পাড়ি দিতে নৌকার সঙ্গে পাল যুক্ত করা হতো। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও মাছ ধরার ছোট জাহাজে পালের ব্যবহার দেখা যায়।