এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য অর্থাৎ চীনের সামরিক অগ্রগতি ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। এবার পারমাণবিক চালিত সাবমেরিনের একটি নতুন যৌথ বহর তৈরির ঘোষণা দেয় অকাস । ১৩ মার্চ ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর নৌঘাঁটিতে এর বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হয়।
সে সময় বৈঠকে AUKUS উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। ‘অকার্স’ চুক্তির অধীনে অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন তিনটি সাবমেরিন কিনবে।
প্রয়োজন মনে করলে অস্ট্রেলিয়া আরও দুটি ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিনও কিনতে পারবে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াকে এসএসএন-অকাস মডেলের সাবমেরিন দেবে যুক্তরাজ্য।
আরো পড়ুন
- হন্ডুরাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক
- তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
- প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি
- জাতিসংঘ পানি সম্মেলন ২০২৩
- আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) : কী কেন কীভাবে কাজ করে
- পুতিনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি
- সৌদি-ইরান : বৈরিতা থেকে সম্প্রীতি
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
- সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী প্রশ্নোত্তর
- গোয়েন্দা নজরদারিতে গুপ্তচর বেলুন
এগুলো যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি হবে। যুক্তরাজ্যের পর ওয়াশিংটনের অভিজাত পারমাণবিক প্রযুক্তি গ্রহণকারী দ্বিতীয় দেশ হবে অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ১৯৫৮ সালে সর্বশেষ পারমাণবিক | সাবমেরিন প্রযুক্তি বিনিময় করে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে।
২০২৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অল্পসংখ্যক পারমাণবিক সাবমেরিন স্থাপন করবে। চুক্তির অধীনে, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের ব্যবহার শেখাতে অস্ট্রেলিয়ার নৌ সেনাদের এ বছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাবমেরিন ঘাঁটিতে পাঠানো হবে। বর্তমানে মাত্র ছয়টি দেশের হাতে পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।
দেশগুলো হলো— যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ভারত। প্রসঙ্গত, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ এ তিন দেশ অকাস চুক্তির ঘোষণা দেয়। এ চুক্তির আওতায় নিজেদের মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার যুদ্ধের সরঞ্জামসংক্রান্ত সহযোগিতা সরবরাহের কথা রয়েছে।