টিস্যু (Tissue)
একই বা বিভিন্ন প্রকারের একগুচ্ছ কোষ একত্রিত হয়ে যদি একই কাজ সম্পন্ন করে এবং তাদের উৎপত্তিও যদি অভিন্ন হয়, তখন তাদের টিস্যু বা কলা বলে। সর্বপ্রথম টিস্যু শব্দটি ব্যবহার করেন ফরাসি বিজ্ঞানী M. F. X Bichart.
প্রকারভেদ
উদ্ভিদটিস্যু : উদ্ভিদ টিস্যু প্রধানত দুই ধরনের ।
ক. ভাজক টিস্যু : এ টিস্যুর কোষ বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ সৃষ্টি করে । ভাজক টিস্যুর অপর নাম মেরিস্টেম।
খ. স্থায়ী টিস্যু : ভাজক টিস্যু থেকে সৃষ্ট ও বিভাজনে অক্ষম পরিণত টিস্যুকে স্থায়ী টিস্যু বলে। স্থায়ী টিস্যু ৩ ধরনের। যেমন— সরল, জটিল ও নিঃস্রাবী টিস্যু।
আরো পড়ুন
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১০০টি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান
- ২০২২ সালের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আলোচিত ঘটনা
- খেলাধুলা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর
- সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২৩ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
প্রাণিটিস্যু : একই গঠন বিশিষ্ট প্রাণীদের একগুচ্ছ কোষ একত্রিত হয়ে একই কাজ করলে এবং তাদের উৎপত্তিস্থল একই হলে ঐ কোষগুচ্ছকে একসাথে প্রাণিটিস্যু বলে। গঠনকারী কোষের সংখ্যা, বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রাণিটিস্যু প্রধানত চার প্রকার। যথা : আবরণী টিস্যু, যোজক টিস্যু, পেশি টিস্যু ও স্নায়ু টিস্যু।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি :
- টিস্যুর ক্ষেত্রে সত্য নয়— ভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্ট।
- স্থায়ী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য — কোষগুলো বিভাজনে অক্ষম।
- পাটের আঁশ/সোনালি আঁশ বলা হয় – ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমাকে।
- ভাজক টিস্যুর কোষগুলো বিভাজিত হয় – মাইটোসিস পদ্ধতিতে।
- টিস্যু নিয়ে আলোচনা করাকে বলে— টিস্যুতত্ত্ব (Histology)।