বাংলাদেশ বহু জাতি, ভাষা ও ধর্মের দেশ। বৈচিত্র্যময় এদেশের মানুষ ও তাদের সংস্কৃতি। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাঙালি হলেও তাদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা নিজস্ব স্বকীয়তা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে বসবাস করে।
ক্ষুদ্র জাতিসত্তা
Ethnic Minority বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা একটি স্বতন্ত্র নৃ-গোষ্ঠী । এরা সংখ্যায় ক্ষুদ্র হতে পারে আবার বড়ও হতে পারে । ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বলতে এমন একটি জনসমষ্টিকে বুঝায় যারা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংগঠিতভাবে বসবাস করে, যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে যা অন্য জাতিগোষ্ঠী থেকে পৃথক।
বৃটিশ নৃবিজ্ঞানী E.B. Tylor তার Dictionary of Anthropology গ্রন্থে বলেন, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা স্বতন্ত্র সাংস্কৃ তিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐক্যই এদেরকে সংগঠিত করে রাখে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সদস্যরা নিজস্ব পরিচিতিসহ বৃহৎ কোনো সমাজের উপ- গোষ্ঠী হিসেবে বসবাস করে ।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা
বাংলাদেশে বর্তমানে ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে। ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মোট ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনসংখ্যা হচ্ছে ১৬,৫০,১৫৯ জন । এ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ০.৯৯ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অন্তর্গত । এদের মধ্যে চাকমা জাতিসত্তার সংখ্যা সর্বাধিক। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মারমা। বাংলাদেশের প্রধান চারটি অঞ্চলে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বসবাস রয়েছে। এগুলো— ক) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল (চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকা), খ) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল গ) মধ্য-উত্তরাঞ্চল এবং ঘ) বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ।
এসব অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মধ্যে চাকমা, মারমা (মগ), মুরং (ম্রো), ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো, মণিপুরি, রাখাইন, হাজং, খাসিয়া, ওঁরাও, মাহাতো, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখো, মালো, বম, বর্মণ, মুন্ডা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের প্রতিটি নৃ-গোষ্ঠী স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত । এদের প্রত্যেকের ভাষা, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি, রীতিনীতি, ঐতিহ্য এককথায় সামগ্রিক জীবনধারা অপরাপর জনগোষ্ঠী থেকে স্বতন্ত্র ।
ধর্ম ও বিশ্বাস
ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে চাকমা, মারমা, রাখাইন, তঞ্চঙ্গ্যা প্রভৃতি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। চাকমাদের বৌদ্ধমন্দির বা বৌদ্ধবিহারের নাম ক্যাং । প্রতিটি ক্যাং-এ একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু থাকেন যিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন। চাকমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মাঘীপূর্ণিমা ।
মারমাদের প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামে বৌদ্ধ বিহার ‘কিয়াং’ এবং বৌদ্ধভিক্ষু বা ‘ভান্তে’দের অবস্থান পরিলক্ষিত হয়। মারমারা বৈশাখী পূর্ণিমা, আশ্বিনী পূর্ণিমা, কার্তিকী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা প্রভৃতি বিশেষ দিনগুলোতে বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে ফুল দিয়ে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের বন্দনা করে ।
মারমা নৃ-গোষ্ঠীর একটি অংশ সর্বপ্রাণবাদ চর্চা করে, যাদের ধর্মীয় গ্রন্থের নাম খাদুত্যিয়াং’। রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি জাদুবিদ্যা, অতিপ্রাকৃতিক শক্তি এবং নানাবিধ কুসংস্কারে বিশ্বাসী। গারো, খাসিয়া, বম, লুসাই প্রভৃতি খ্রিষ্টান; হাজং, ত্রিপুরা, মাহাতো, কোচ, বৰ্মণ প্রভৃতি সনাতন এবং মণিপুরীরা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী।
এছাড়া প্রকৃতি বা জড়োপাসকও রয়েছে । গারোরা খ্রিষ্টান হলেও তাদের ঐতিহ্যগত ধর্মের নাম সাংসারেক । জগৎ সংসার বোঝাতেই সাংসারেক শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সংসার, পরিবার, খানা অর্থাৎ জাগতিক বিষয়কে কেন্দ্র করেই গারোদের ধর্ম। গারোরা ঐতিহ্যগতভাবে সর্বপ্রাণবাদে বিশ্বাসী।
তারা অতিপ্রাকৃত শক্তিতে বিশ্বাস করে, যাকে মাইতে বলে উল্লেখ করা হয়। খাসিয়াদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক এবং প্রধান দেবতা তাতারা রাবুগা। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ প্রধানত হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী। সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা হিন্দুধর্মের রীতিনীতি ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। অন্যরা খ্রিষ্টান ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।
ভাষা ও সাহিত্য
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর নিজস্ব ভাষা রয়েছে । তবে অনেকেরই লেখ্য লিপি নেই । চাকমা, মারমা, রাখাইন, মণিপুরী, তঞ্চঙ্গ্যা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। চাকমাদের ভাষার নাম চাকমা বা চাঙমা। এ ভাষা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রকৃতির। এ ভাষায় বইপুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী চাকমা চিকিৎসাশাস্ত্র ‘চাকমা তালিক সম্পূর্ণই চাঙমা ভাষায় লিখিত । মারমাদের ভাষা বর্মী লিপিতে লেখা হয়। এ ভাষা ‘মগী’ নামে সমধিক পরিচিত।
আরো পড়ুন
- ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান স্কুল পর্যায়-২
- ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান স্কুল/সমপর্যায়
- ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান কলেজ পর্যায়
- বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি মডেল টেস্ট
- সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী প্রশ্নোত্তর
- সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী প্রশ্নোত্তর
- সাধারণ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর- বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
- কম্পিউটার সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর
ত্রিপুরাদের ভাষার নাম ককবরক। ককবরক ভাষার নিজস্ব অক্ষর-লিপি রয়েছে। গারোদের ভাষার নাম আচিক বা মান্দি বা গারো ভাষা। এ ভাষার মধ্যে বাংলা ও আসামি ভাষার মিশ্রণ রয়েছে। সাঁওতালদের ভাষার নাম সাঁওতালী । এ ভাষা দুটি উপভাষায় বিভক্ত— ক) কারমেলি ও খ) মাহলেস। খাসি, মাহালী, বম এবং খুমিরা রোমান হরফকে নিজেদের মতো পরিবর্তন করে ব্যবহার করে । এছাড়া অনেক ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বাংলা হরফেই মাতৃভাষার চর্চা করে ।
পোশাক পরিচ্ছদ
ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পোশাক পরিচ্ছদ তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচয়বাহী। চাকমা পুরুষেরা ‘ধুতি’ ও নারীরা ‘পিনন’ পরিধান করে থাকে। পুরুষেরা নিজেদের তাঁতে তৈরি ‘মিলুম’ (জামা, পরে। মারমা পুরুষেরা জামা ও লুঙ্গি পরিধান করে এবং মাথায় ‘গবং’ নামক পাগড়ি পরে।
নারীরা ‘রাংকাই’ ও ‘থামি’ নামের দুটি বিশেষ ধরনের পোশাক পরে থাকে। ত্রিপুরা পুরুষেরা ধুতি পরে থাকে । তারা মাথায় পাগড়ি বা টুপি পরিধান করে। নারীরা ব্লাউজ এবং সায়া পরিধান করে। ত্রিপুরা নারী- পুরুষ উভয়েই কানে দুল পরে থাকে এবং অবিবাহিত মেয়েরা রঙিন জামা-কাপড় পরে থাকে।
সাঁওতাল মেয়েরা সাধারণত কাঁধের উপর জড়িয়ে শাড়ি পরে। মেয়েরা হাতে রাং, লোহা কিংবা শাখের বালা পরে । পুরুষেরা লুঙ্গি পরে। কোনো কোনো পুরুষ গলায় মালা ও হাতে বালা ব্যবহার করে। মণিপুরী পুরুষরা সাধারণত ধুতি এবং মেয়েরা লুঙ্গি পরিধান করে থাকে।
খাদ্যাভ্যাস
চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, মণিপুরী প্রভৃতি জাতিসত্তার প্রধান খাদ্য ভাত। তাছাড়া মাছ, মাংস, ফলমুল, ডাল ইত্যাদি তারা খেয়ে থাকে। স্থানীয়ভাবে তৈরিকৃত মদ চাকমাদের অন্যতম সামাজিক পানীয়। সিদ্ধ শাকসবজির সাথে মরিচ মিশিয়ে প্রস্তুত করা ‘তোহজা’ মারমাদের একটি প্রিয় খাবার । শুটকি মাছ থেকে প্রস্তুতকৃত ‘নাপ্পি’ বা ‘আওয়াংপি’ তাদের আরেকটি পছন্দের খাবার । মাছ মাংসের পাশাপাশি গারোরা কচি বাঁশ দিয়ে এক ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করে । এছাড়া শুটকি মাছ তাদের অন্যতম প্রিয় খাবার ।
সাংস্কৃতিক উৎসব
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলো নানা উৎসব পালন করে থাকে। বর্ণিল ও বৈচিত্র্যের এসব উৎসব তাদের জীবন ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে মূলত আনন্দ ও ঐক্যের মেলবন্ধন ঘটে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় এসব উৎসব পালিত হয়।
বৈসাবি : পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর জন্য বৈসাবি একটি সর্বজনীন ধর্মীয়-সামাজিক উৎসব। ‘ত্রিপুরাদের ‘বৈসুক’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমাদের ‘বিজু’—এই তিন উৎসবের নামের প্রথম অক্ষর থেকে ‘বৈসাবি’ নামের উৎপত্তি। তিনটিই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান । ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলো বৈসাবি উৎসবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। ১৯৮৫ সাল থেকে সম্মিলিতভাবে বৈসাবি উৎসব পালিত হয়ে আসছে ।
বৈসুক : ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যা জাতিসত্তা বৈসুক উৎসব পালন করে থাকে । তিনদিন ধরে এ উৎসব পালিত হয় । নববর্ষের প্রথম দিন ত্রিপুরা জাতিসত্তার বয়স্করা ছোটদের আশীর্বাদ করেন । আর কিশোরীরা কলসি কাঁখে নিয়ে বয়স্কদের খুঁজে খুঁজে গোসল করায়। তরুণ-তরুণীরা রং খেলায় মেতে ওঠে। উৎসবের প্রথম দিন তঞ্চঙ্গ্যা মেয়েরা ফুল সংগ্রহ করে ঘর সাজায়। পরদিন সবাই গোসল করে নতুন জামা-কাপড় পরে আনন্দ-ফূর্তি করে । ঘরে ঘরে ঐতিহ্যবাহী খাবার আর পিঠার আয়োজন করা হয় । রাতে ‘ঘিলা’ নামের এক খেলায় মেতে ওঠে সবাই ।
সাংগ্রাই : মারমা ও রাখাইনদের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রিলং পোয়েহ্। এটি পানি ছোড়াছুড়ির খেলা। মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেয়। তাদের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে অতীতের সকল দুঃখ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যায়।
বিজু : চাকমা সমাজের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী সর্বজনীন উৎসব হলো বিজু বা বিঝু উৎসব। বাংলা বছরের শেষ দু’দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব হয় । অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ‘ফুল বিজু’ নামে পরিচিত। এদিন ভোরে পানিতে ফুল ভাসানো হয়। তরুণ-তরুণীরা পাড়ার বৃদ্ধদের গোসল করিয়ে দেয়। তবে বিজু উৎসবের মূল দিন নববর্ষের প্রথম দিন। চাকমা ভাষায় এ দিনটির নাম গজ্যাপজ্যা, অর্থাৎ গড়াগড়ি খাওয়ার দিন । এদিন ভালো খাবার রান্না করা হয় । মনে করা হয়, বছরের প্রথম দিন ভালো রান্না করলে বছরজুড়ে অভাব থাকবে না ।
ওয়ানগালা : গারোদের প্রধান সামাজিক ও কৃষি উৎসব ওয়ানগালা। গারোদের বিশ্বাস, ভালো ফসলের জন্য দেবতাদের আশীর্বাদ প্রয়োজন। তাই দেবতাদের সুদৃষ্টি কামনা ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশই এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। ওয়ানগালা উৎসব তিনটি পর্বে বিভক্ত।
সোহরায় : ঐতিহাসিককাল থেকে সাঁওতাল সমাজে সোহরায় উৎসব পালিত হয়ে আসছে। সাঁওতালরা সারা বছর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, কাদামাটি মেখে, গৃহপালিত পশুর মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে । এ জন্যই ফসল তোলার পর গৃহদেবতা, গোত্র দেবতা ও পূর্বপুরুষদের পূজা অর্চনা, আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে আনন্দ উৎসব এবং গৃহপালিত পশুর পরিচর্যা ও বন্দনার মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালিত হয়। উৎসবকে ঘিরে বিবাহিত মেয়েরা তাদের বাবার বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পান। কারণ উৎসবে তাদের আমন্ত্রণ জানানো একটি রেওয়াজ।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান
বর্তমানে দেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ১০টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, উন্নয়ন ও চর্চা এবং লালনের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো— ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোণা; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান; কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্ৰ, কক্সবাজার; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি; রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, রাজশাহী; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, দিনাজপুর এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, নওগাঁ ।
আমাদের দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা, উৎসব, লোকাচার, সাহিত্যসহ নানাবিধ সাংস্কৃতিক উপাদান বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিতে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এসব সাংস্কৃতিক উপাদানের যথেষ্ট অবদান রয়েছে ।