বৃহস্পতিবার, জুন ১, ২০২৩
প্রচ্ছদসাধারণ বিজ্ঞানকোষ কাকে বলে? কত প্রকার? কি কি?

কোষ কাকে বলে? কত প্রকার? কি কি?

- Advertisement -

কোষ কী?

কোষ বা Cell হলো জীবদেহের গঠন ও কাজের মৌলিক একক যা বৈষম্য ভেদ্য পর্দা দিয়ে আবৃত অবস্থায় নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটোপ্লাজম নিয়ে গঠিত।

কোষের প্রকারভেদ

সকল জীবকোষ এক রকম নয়। এদের গঠন, আকৃতি ও কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষ দুই ধরনের—

১. আদিকোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ : এ ধরনের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণুও থাকেনা তবে রাইবোজোম থাকে। উদাহরণ : ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল, নস্টক ইত্যাদি।

২. প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ : এ ধরনের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে। রাইবোজোম সহ কোষের সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে । উদাহরণ : শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি

- Advertisement -

কাজের ভিত্তিতে প্রকৃত কোষ দুই ধরনের—

১. দেহকোষ : বহুকোষী জীবের দেহগঠনে এসব কোষ অংশ নেয়। মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। উদাহরণ : মূল, কাণ্ড, পাতার কোষ, স্নায়ু কোষ, রক্ত কণিকা ইত্যাদি।

২. জননকোষ : যৌন প্রজনন ও জনক্রম দেখা যায়, এমন জীবে জনন কোষ উৎপন্ন হয়। মায়োসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। পুং ও স্ত্রী জননকোষের মিলনের ফলে জাইগোট (Zygote) সৃষ্টি করে ।

আরো পড়ুন

কোষ বিভাজন : জীবদেহে ৩ ধরনের কোষ বিভাজন ঘটে। * অ্যামাইটোসিস (ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, ও নীলাভ সবুজ শৈবালে)। মাইটোসিস (দেহকোষ ও শীর্ষ ভাজক কলায়)। এ বিভাজনের ৫টি ধাপ : প্রোফেজ, প্রো-মেটাফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ । মায়োসিস শুধু জনন কোষে ।

জেনে রাখুন

অকোষীয় জীব : যদি কোনো জীবের মধ্যে কোনো কোষ না, থাকে, তাহলে তাকে অকোষীয় জীব বলা হয় । উদাহরণ : ভাইরাস।

এককোষী জীব : শুধু একটি কোষ দিয়ে গঠিত জীবগুলোকে এককোষী জীব বলা হয়। উদাহরণ : অ্যামিবা, ব্যাকটেরিয়া, প্লাঙ্কটন, নস্টক, ইস্ট ইত্যাদি।

বহুকোষী জীব : বহুকোষ দ্বারা গঠিত জীবগুলোকে বহুকোষী জীব বলা হয়। উদাহরণ : ছত্রাক, শৈবাল, মানুষ, উদ্ভিদ, প্রায় সকল প্রজাতির প্রাণিকুল ইত্যাদি।

- Advertisement -

প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?

কোষের ভিতরে যে অর্ধস্বচ্ছ, থকথকে জেলির মতো বস্তু থাকে তাকে প্রোটোপ্লাজম বলে। এটি এমন এক প্রকার অর্ধতরল পদার্থ যা বিভিন্ন সময়ে জীবের প্রয়োজনে জীবনের সকল বৈশিষ্ট্যাবলি প্রদর্শন করে থাকে। আর এজন্যই বিজ্ঞানী হাক্সলে প্রোটোপ্লাজমকে ‘জীবনের ভৌত ভিত্তি বলেছেন।

কোষ গবেষক
সাল নাম গবেষণা/আবিষ্কার 
১৬৫০  লিউয়েন হুক অণুবীক্ষণ যন্ত্র ও ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন। জীবিত কোষ পর্যবেক্ষণ করেন
১৬৬৫  রবার্ট হুক কোষ আবিষ্কার করেন
১৮৩৯  সোয়ান ও স্লেইডেন কোষতত্ত্ব প্রদান করেন

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি

  • কোষ নামকরণ করেন— রবার্ট হুক।
  • আধুনিক কোষবিদ্যার জনক— সোয়ানসন
  • কোষের অংশ নয়— প্লাজমা।
  • কোষের পাওয়ার হাউজ বলা হয়— মাইটোকন্ড্রিয়াকে
  • কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়— নিউক্লিয়াসকে
  • মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ — নিউরন
  • কখনোই বিভাজিত হয় না— স্নায়ুকোষ
  • মানবদেহের সবচেয়ে ছোট কোষ— শ্বেত রক্ত কণিকা

প্রোটোপ্লাজম + প্লাজমা মেমব্রেন = কোষ
কোষ + কোষ (একই কাজে নিয়োজিত) = টিস্যু

- Advertisement -
Preparation BD
Preparation BD
Preparation.com.bd বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক একটি বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সাইট। Preparation.com.bd এর অন্যতম উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশের সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সম্প্রদায় তৈরি করা এবং শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং সমস্যা সমাধান করা।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বাধিক পঠিত

সর্বশেষ মন্তব্য