সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে অর্ধেক পৃথিবী তলিয়ে যাওয়া রোধে অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ৪ মার্চ ২০২৩ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো High Seas Treaty শিরোনামের চুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষরে সম্মত হয়। নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দীর্ঘ ৩৮ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক শেষে এ চুক্তিটির বিষয়ে মতৈক্য হয়।
এর আগে প্রায় এক দশক ধরে অর্থায়ন এবং সমুদ্রে মাছ ধরার অধিকারের বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্যের কারণে চুক্তিটি ঝুলে ছিল । গভীর সমুদ্র এবং এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এমন চুক্তি এই প্রথম।
চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনে সদস্য দেশগুলোকে বৈঠকে বসতে হবে । এছাড়া জাতিসংঘের ছয়টি সরকারি ভাষায় অনুবাদ করার পর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে। এটি কার্যকর হওয়ার আগে দেশগুলোকে চুক্তিটিতে সমর্থন দিতে হবে। এরপর বিজ্ঞান ও কারিগরি কমিটির মতো অনেকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ঠিক করতে হবে ।
নতুন চুক্তি অনুসারে সামুদ্রিক প্রকৃতি সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধার করতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% গভীর সমুদ্র অঞ্চল সংরক্ষিত থাকবে । সমুদ্রের যেসব এলাকা সংরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত হবে সেখানে মাছ ধরা, নৌযান চলাচলের রুট এবং খনন কাজের সীমা, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার বা তার নিচের সমুদ্র তলদেশ থেকে কখন খনিজ পদার্থ আহরণ করা যাবে, তা ঠিক করে দেওয়া হবে।
High Seas
High Seas হচ্ছে আন্তর্জাতিক জলসীমা, যেখানে সব দেশের মাছ ধরার, জাহাজ চালানো ও গবেষণার অধিকার রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অত্যধিক মাছ ধরা ও জাহাজ চলাচলের কারণে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে থাকা সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণী ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সমুদ্র সুরক্ষায় ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২ স্বাক্ষরিত হয় সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশন।
আরো পড়ুন
- হন্ডুরাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক
- তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
- প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি
- জাতিসংঘ পানি সম্মেলন ২০২৩
- আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) : কী কেন কীভাবে কাজ করে
- পুতিনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি
- সৌদি-ইরান : বৈরিতা থেকে সম্প্রীতি
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
- সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী প্রশ্নোত্তর
- গোয়েন্দা নজরদারিতে গুপ্তচর বেলুন
ঐ চুক্তিটির নাম ছিল United Nations Convention on the Law of the Sea (UNCLOS)। প্রয়োজনীয়সংখ্যক দেশের অনুসমর্থনের পর ১৬ নভেম্বর ১৯৯৪ থেকে এটি কার্যকর হয়। এতে High Seas শিরোনামে বিশেষ এলাকা নির্ধারণ করা ছিল, যা আন্তর্জাতিক জলসীমা হিসেবে বিবেচিত হতো।
এসব এলাকায় সব দেশের জাহাজ চলাচল, মাছ ধরা ও গবেষণার অধিকার সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু সেখানে মাত্র ১.২% অঞ্চল সংরক্ষিত ছিল, যা এবারের চুক্তিতে পরিবর্তন করা হয়।